সাম্প্রদায়িক কি? বাঙালী হিন্দুরা কি আদৌ সাম্প্রদায়িক?
আকণ্ঠ সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে ডুবে আছেন যে সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাঁরাই প্রতিনিয়ত গােয়েবলসীয় কায়দায় প্রকৃত দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী এবং প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এই তথাকথিত সেকুলার বাবুদের কাছে হিন্দুধর্মের কথা বললে হয় সাম্প্রদায়িক। অথচ সংখ্যালঘুরা ধর্মের নামে যখন স্টিমরােলার চালায় তখন তাঁরা চুপ করে থাকেন। তাই সাবেক পূর্ব পাকিস্থান থেকে দেড় কোটি হিন্দু ও বৌদ্ধ অত্যাচারিত হয়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হলে অথবা কাশ্মীর থেকে দুই লক্ষ হিন্দু পণ্ডিত বিতাড়িত হলে তাঁরা একটি বাক্যও খরচা করেন না।
বাবরি নামে একটি বিতর্কিত কাঠামাের শােকে এঁরা প্রায় উন্মাদ হয়ে অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন। কিন্তু ভুলেও বাবরের দিনলিপি তুজুখ-এ-বাবরির অনুবাদ বা ফৈজাবাদ কালেক্টরীর রেকর্ড পড়ে দেখে প্রকৃত সত্য জানতে চান না। কোন ঐতিহাসিক বা পুরাতত্ত্ববিদের মতামতও জানতে চান না। এঁরা ঘটা করে ইফতার পার্টি দেন অথচ বিজয়ার শুভেচ্ছার মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পান।
এই প্রসঙ্গে ৫.১০.১৯৮৩ তাং আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ উল্লেখ করছি। দেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি পর্যালােচনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সমীক্ষক দল তাঁদের রিপাের্টে বলেছেন, আরব দেশগুলি থেকে ইসলামের পুনরুত্থানের নামে ভারতে প্রচুর টাকার আমদানী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক মুসলিম দলগুলির প্ররােচনাই ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার অন্যতম কারণ।
১৯৮৩ থেকে ২০০১এই ১৭ বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী মুসলমানে দেশ ছেয়ে গিয়েছে। পাকিস্থানী গুপ্তচর সংস্থার কার্যকলাপ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।অনুপ্রবেশকারী মুসলমানে দেশ ছেয়ে গিয়েছে। পাকিস্থানী গুপ্তচর সংস্থার কার্যকলাপ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। অতি সাম্প্রতিক তিনটি মাত্র ঘটনার কথা উল্লেখ করছি।
১। ৬ ডিসেম্বর ২০০০ মালদহ শহরের বুকে জামাত-ই-ইসলামিয়া (হিন্দ)-এর ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টসইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিইয়া (S.I.M.I.)-এর জনসভায় প্রকাশ্যে ডাক দেওয়া হয় “মালদহ থেকে জেরুজালেম পর্যন্ত ইসলাম রাজত্ব কায়েম করাে।”
২। গত ২৯শে ডিসেম্বর ২০০০ বর্তমান পত্রিকার ৫-এর পাতায় সংবাদসীমান্তবর্তী এলাকায় ভােটার তালিকায় নাম তুলতে সংগঠন গড়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। মদত দিচ্ছে রাজনৈতিক
দলগুলি।
৩। ২১শে জানুয়ারি ২০০১ কলকাতার রােকেয়া পার্কের সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা। রােকেয়া পার্কে পুরসভার অনুমতি নিয়ে বসানাে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত ও চারণ কবি মুকুন্দ দাসের মূর্তি দুইটি সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র।
এরকম সংবাদ প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হয়। আমরা ছাপােষা মানুষ সব পড়ি । পড়লেও গুরুত্ব দিই না। দেশ-ভাগ পূর্বে মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক ভাগ বাঁটোয়ারার দাবীগুলি বিভিন্ন উগ্রপন্থী মুসলিম সংগঠনের মাধ্যমে আবার পেশ করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতা কি, আর কারা সাম্প্রদায়িক এই নিয়ে কিছু তথ্য পরিবেশন করলাম। সহৃদয় পাঠকগণ সত্য উপলব্ধি করলে পরিশ্রম সার্থক হবে। অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে তথ্যগুলি সংগ্রহ করে লিখতে হলাে। ভাষার ত্রুটি থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। পরিশেষে জানাই, আমার অনুভব এই যে— হিন্দুধর্মে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই।
নান্দীপাঠ
জগন্নাথ মুখােপাধ্যায়
আমরা সবাই জানি, মানব সভ্যতার অগ্রগতির কোন এক সময়ে ধর্মের আবির্ভাব ঘটে বা উদ্ভব হয়। ধর্ম মানুষ তৈরি করেনি। বরং মানুষই ধর্ম তৈরি করেছে। আর সেই ধর্মের বৈধতা দিতে বা বহুজনগ্রাহ্যতা আনতে প্রায় সব ধর্মেই কিছুকিছুঅলৌকিকঅবিশ্বাস্য সব বৃত্তান্ত ফাঁদা হয়েছে। এর বিরােধিতা করার দুঃসাহস প্রায় কেউ দেখান নি। পরবর্তীকালে এই সব ধর্মে বহু সংযােজন-বিয়ােজন ঘটেছে। ধর্মেরও শুদ্ধিকরণ ঘটেছে।
তারপর সভ্যতার অগ্রগতির পথ ধরেই সমগ্র পৃথিবীতেই মানুষের ব্যাপ্তি ঘটেছে। দুনিয়া তাে একসময় সভ্যজগৎ' এবং ‘অ-সভ্য জগৎ’ রূপে চিহ্নিত/আলােচিত পর্যন্ত হয়েছে। আর প্রাচীনকালে বা মধ্যযুগে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, জাতীয়তাবােধ ইত্যাদি ব্যাপারের তেমন একটা চল ছিল না। রাজ্য বা সাম্রাজ্য থাকলেও রাষ্ট্র ছিল না। সেই সময় রাজা ছিল এবং ধর্ম ছিল। কিন্তু বরাবর যেরকম হয়, প্রয়ােজনে রাজার নির্দেশে ধর্মেরও সংবর্ধন, সংকর্তন ঘটেছে, রাজভেদে ধর্মের ব্যাখ্যাও পাল্টে গেছে। প্রজাদের ঘাড়ে একাধিক মাথা ছিল না যে, সে ধর্মের ব্যাখ্যায় কোন প্রশ্ন তােলে।
তবু তারই মাঝে এই এক এক জনগােষ্ঠী বা জাতি-গােষ্ঠী নিজেদের ধর্মের উৎকর্ষতা প্রতিপন্ন করতে অন্য জন-গগাষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রায় যুদ্ধ ঘােষণা করল। এবং সেই যুদ্ধে দেশের রাজন্য শক্তিকেও পাশে পেয়ে গেল। ধর্মের অধিকারীদের প্রসারণবাদী মনােভাবও রাজাদের মধ্যে সহজে সংক্রমিত হত। অথবা বলা যায়, রাজশক্তি এবং ধর্মশক্তি—এই দুটি একসময় একে অন্যের পরিপূরক ছিল। খ্রিষ্টান দুনিয়া এবং ইসলামি দুনিয়ার সম্প্রসারণ এইভাবেই হয়েছে।
সেক্ষেত্রে হিন্দু আদৌ সম্প্রসারণবাদী তাে ছিলই না, বরং বলা যায়, এই ধর্মটি একান্তভাবে সংকোচনবাদী। ফলত, যা ঘটবার তাই ঘটল। আজ পৃথিবীতে বেশিরভাগ রাষ্ট্র হয় ইসলাম ধর্মের না হয় খ্রিষ্টান ধর্মের অনুগামী। সে ক্ষেত্রে হিন্দুধর্মের রাষ্ট্র একটিও নেই। যদিও সনাতন বা হিন্দু ধর্মই পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। এমনটা কী ভাবে হল? এখানেও বলতে হয়, মধ্যযুগে হিন্দু রাজাদের মধ্যে কোন ধর্মীয় একাত্মতা বােধ ছিল না। বরং বৈরিতা ছিল। ইতিহাস সাক্ষী। এক হিন্দু রাজা বৈদেশিক শক্তির, মানে ইসলামি শক্তির দ্বারা যখন আক্রান্ত, তখন ধর্মের খাতিরে ওই আক্রান্ত রাজাকে সাহায্য করতে কোন হিন্দু রাজা এগিয়ে আসেনি। অবশ্য দু-একটা ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু সে ব্যতিক্রম মাত্র।
তৎকালীন বৈদেশিক ইসলামি শক্তি এইভাবেই ভারতভূমিতে ভাগ বসাল। তাদের সৌজন্যেই এ দেশের নতুন নামকরণ হল—হিন্দুস্তান, যার থেকে পরবর্তী কালে ইন্ডিয়া। মুসলমান শাসিত দেশে প্রবলভাবে ধর্ম (ইসলাম) বিরাজমান। খ্রিষ্টান ধর্মে এবং রাষ্ট্রে যেমন পােপ, ভ্যাটিকান সিটি, তেমনই মুসলিম রাষ্ট্রে ইমাম এবং মক্কা। কিন্তু হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রে এরকম কোন চূড়ান্ত ধর্মাধিকারীও নেই, ধর্মক্ষেত্রও নেই। আমাদের পুরােহিত, ধর্মগুরুরা সব নিজেদের ব্যক্তিগত আখের গােছাতেই ব্যস্ত ছিলেন। এঁদের মধ্যে ব্যতিক্রম অবশ্যই চৈতন্যদেব, স্বামী বিবেকানন্দ এবং প্রণবানন্দ স্বামী।
পক্ষান্তরে ইসলামি শাসকেরা প্রথম থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করে হিন্দু নারীর সতীত্ব নাশ, পবিত্রতা নাশ শুরু করল আর হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করতে থাকল। প্রকৃত প্রস্তাবে সুজলা সুফলা ভারতে অল্প পরিশ্রমেই গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ায় হিন্দুদের প্রতিরােধ ক্ষমতা, এমনকি আত্মরক্ষার ক্ষমতাও প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ধর্মীয় একাত্মতা বােধ হিন্দুদের ক্ষেত্রে বড় আলগা ছিল। বিজয়ীর পদতলে সেই যে হিন্দুর ঠাই হল, তা থেকে তার মুক্তি ১৭৫৭-তেও ঘটল না। কেবল প্রভু বদল হল।
ভাগ্যক্রমে ১৯৪৭-এ ভারত ত্রিখণ্ডিত হয়ে স্বাধীনতা নামক ললিপপ পেল। ভারত ত্রিধা বিভক্ত হল। হিন্দুদের দাবি মেনে নয়, মুসলমানদের, বলা ভালাে, মহম্মদ আলি জিন্নার দাবি মেনে। মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান, একটা পূবে সাবেক পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান, আরেকটা পশ্চিম পাকিস্তান। কিন্তু নামে ‘পাক’ (পবিত্র) হলে কি হবে, পশ্চিমের মুসলিম ভাইয়েরা পূবের স্বগােত্রীয় ভাইদের উপর ছড়ি ঘােরাতে শুরু করল। এমন কি তাদের মুখের/প্রাণের ভাষার স্বাধীনতা হরণ করতে উদ্যত হয়।
১৯৫২ সালে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে ভাষাগত স্বাধীনতার দাবিতে পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল হয়ে ওঠে। এক রাজ্যের মুসলিমের হাতে আরেক রাজ্যের মুসলিমরা আক্রান্ত, নির্যাতিত, নিগৃহীত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৭১ সালে বহু মুসলিমের (এবং হিন্দুরও) প্রাণের বিনিময়ে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্ররূপে আবির্ভূত হয়। এই রাষ্ট্রের মুসলিম-হিন্দুর এবং গায়ে গায়ে লাগা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমের লাখাে বাঙালি হিন্দুর ভাষাগত ঐক্য থাকলেও ধর্মীয় নিরিখে তারা শত যােজন দূরে। অধিকাংশ মুসলিম (বাঙালি হয়েও) নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়টাকে এত বেশি প্রাধান্য দেয় বলেই জাত-ভিত্তিক একটা পার্থক্য রেখা বড় বেশি বে-আব্রু হয়ে পড়ে।
সােজা কথা সােজাসুজিভাবে বলাই আমার অভ্যাস। সেই মােতাবেক বলছি, এখন পশ্চিমবঙ্গের জাতিগত জনবিন্যাসকে নিজেদের কুক্ষিগত করে তােলার চেষ্টা সংখ্যালঘুদের ভিতরে বেশ চারিয়ে গেছে। তারই ফলশ্রুতি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব সীমানা বরাবর ৯টি জেলায় মুসলমানদের উপস্থিতি/অবস্থিতির আনুপাতিক হারের অবিশ্বাস্য বৃদ্ধি। একে তাে তাদের জন্মহার হিন্দুদের চেয়ে অনেক বেশি। এরপর আছে বৈধ এবং অবৈধভাবে এই পােড়া রাজ্যে অনুপ্রবেশ করে চিরস্থায়ী বসবাসের বন্দোবস্ত করা। এই কর্মে এরা সমধর্মী মানুষদের কাছে পেট্রোডলারের নিরন্তর অনুদান পাচ্ছে। আর ইসলামি শাসকদের আধিপত্যবাদিত আজ বিশ্বস্বীকৃত। ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, মিশর, লিবিয়া, ইথিওপিয়া, মালদ্বীপ যেদিকে তাকান, এক ছবি ফুটে উঠবে।
অনেক ধান্দাবাজ হিন্দু রাজনীতিক নিজের সাদা ইমেজটাকে আরাে সফেদ করার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী ঝেড়ে কেবল মুসলিম উন্নয়নের কথাই বলে। এদেশে মুসলিমরা নিজগুণে বা নিজদোষে পিছিয়ে আছে। তাছাড়া হিন্দু জনগােষ্ঠীর মধ্যে কি দারিদ্র-অভাব নেই?
কই, কোন রাজনৈতিক দল বা নেতার মুখে সংখ্যাগুরুর উন্নয়ন’কথাটি তাে একবারও শুনলাম না। বরং আমাদের অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে তেলমারা কথা শুনলাম, দেশের সম্পদে তাদের (মুসলিমদের প্রথম অধিকার। কত বড় বিপজ্জনক কথা ভালােমানুষ প্রধানমন্ত্রী অবলীলায় বলে বসলেন। এখন তাে সংরক্ষণের দানসাগর চলছে। কে কতবেশি সংরক্ষণ দিতে পারে, আর অসম প্রতিযােগিতা চলছে রাজ্যে-রাজ্যে এবং রাজ্যে-কেন্দ্রে। বহু বছর আগে আমাদের প্রিয় বিদ্রোহী কবি নজরুল কাণ্ডারী হুশিয়ার’ কবিতায় বলে গিয়েছিলেন, কাণ্ডারী, তুমি ‘জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ? না, সব ধড়িবাজ রাজনীতিকরা ‘জাতের’র কার্ড খেলেই ক্ষমতার মসনদে বসে থাকতে ব্যর্থ। এদেশে এখন কে বলবে,
“শুনো মানুষ ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
সেরকম আশার আলাে দূর দিগন্তেও লক্ষিত হচ্ছে না। অতএব বিশ্বাস ওসামা বিন লাদেনের পরেও আবার হাজার হাজার লাদেন জন্ম নেবে, সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উথাল পাতাল করে তুলবে। এই ইসলামি সমাজের (ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে) চরিত্রশুদ্ধির এবং শুভবােধের জাগরণ যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ ততদিন পৃথিবীতে আরাে বহু রক্তপাত, বহু সংঘর্ষ, বহু অশান্তি ঘটতে থাকবে। গ্রন্থকার অম্বিকাপ্রসাদ পাল কোন প্রথাসিদ্ধ লেখক নন। কিন্তু যেহেতু সংবেদনশীল মানুষ, তাই দেশে বা সমাজ ব্যবস্থায় যা কিছু বিসদৃশ দেখেছেন সেই বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতিকেই তিনি এখানে প্রশ্রয় দিয়েছেন। এর মধ্যে যদি কেউ মুসলিম-বিদ্বেষ লক্ষ্য করেন তাহলে আমি বলব, চশমাটা পাল্টান। আর আত্মানুশীলন, আত্মবীক্ষা করুন। ওই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ভজ গােবিন্দ জপে আত্মাকে রক্ষা করা যাবে না। তিনি বিদ্বিষ্ট হওয়ার কথা কোথাও বলেন নি। কিন্তু হকের অধিকার রক্ষায় যে জাতি কানা বা অন্ধ তার বা তাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনের প্রয়াস তিনি করেছেন। একান্ত আশা করব, তাঁর উদ্দেশ্য সাফল্য অর্জনে সমর্থ হবে।
নিচে বাটনে সাম্প্রদায়িক সম্পূর্ন বইটি দিয়ে দিয়েছি। Download করে পড়ে নিবেন।