Budget inequality of religious minorities in Bangladesh
The total budget of the Ministry of Religion is Rs 15,000 crore. Only TK 290 crore (1.95%) for minorities, Reward of non-communal consciousness!
The development of the state is never possible by ignoring a large part of the state.
প্রতিবাদ
ধর্ম মন্ত্রনালায়ের ২০২১-২০২২ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ১.৯৩%।
অর্থ মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদিত ধর্ম মন্ত্রনালায়ের ২০২১-২০২২ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান প্রকল্প ও অন্যান্য মোট বরাদ্দ বাবদ ১৫,০৫৪.০৩ কোটি টাকা রাখা হলেও তন্মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ২৯০.০৮ কোটি টাকা যা মোট প্রকল্প বরাদ্দের ১.৯৩%। কিন্তু ২০১৮ সালের বিবিএসের করা বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের জরিপ প্রতিবেদন মতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যানুপাতিক হারে ন্যায্য বরাদ্দ প্রাপ্য কমপক্ষে ১১.০৬%।
উল্লেখ্য, থোক বরাদ্দ হিসাবে ২০১৭ সালে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আওতায় আংশিক কিছু প্রকল্পের কার্যক্রম বর্তমানে সারাদেশে চলমান থাকলেও তদপরবর্তী বিভিন্ন অর্থবছরের বাজেটে কোন নতুন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বৈষম্য-বঞ্চনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভাগ্যোন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কোনরূপ প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও হতাশাব্যঞ্জক।
বাজেটে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উন্নয়নে ও মডেল মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান তথা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভাগ্যোন্নয়নে ও ধর্মীয় উন্নয়নের জন্য সংখ্যানুপাতিক অনুরূপ কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। যা দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতায় ধর্মীয় শিক্ষা, বৈদিক ও সংস্কৃত শিক্ষা, পালিবোর্ড এবং এর অধীনে পরিচালিত টোল ও পালি প্রতিষ্টানসমুহ বর্তমানে একেবারেই জরাজীর্ন ও সাইনবোর্ড সর্বস্য হয়ে বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।
এদেশের একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি - বার্ষিক বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে এধরনের অবজ্ঞাসুচক ও বৈষম্যমুলক নীতি এবং অসম বণ্টন মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা ও সাংবিধানিক এবং নাগরিক সম অধিকার নিশ্চিত সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখহাসিনার অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও অঙ্গিকার বাস্তবায়নের পরিপন্থী। আমরা এই অবজ্ঞাসুচক বাজেট বরাদ্দ প্রত্যাক্ষানের পাশাপাশি তীব্র প্রতিবাদ ও পুনঃবিবেচনার আবেদন জানাচ্ছি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়নে ও ধর্মীয় অধিকার ভোগে দীর্ঘদিন যাবত ধারাবাহিকভাবে চলমান বৈষম্য নিরসনে সংখ্যানুপাতিক হারে ন্যূনপক্ষে ৫০০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত পাকিস্থানের অনুরূপ বাংলাদেশেও সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় প্রতিষ্টার জোর দাবী জানাচ্ছি।
Great