বছর বছর সেক্রিফাইস,অপরাধ কইরা ক্ষমা চাওয়া, এসব বা*ছাল দিয়ে মানুষ নৈতিক হয় না।
বছর বছর সেক্রিফাইস,অপরাধ কইরা ক্ষমা চাওয়া, এসব বা*ছাল দিয়ে মানুষ নৈতিক হয় না। যারা বোধ বুদ্ধি সম্পন্ন তাদের বছর বছর এসব করতে হয়না। এটা হচ্ছে মাংস খাওয়ার লোভ আর আভিজাত্য দেখানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা। যেটা বিস্মত লাগে কুরবানীর বিরোধীতা করলেই একদল লোক এসে মাংস খাই কিনা জিজ্ঞেস করে। এরা ধরে নেয় মাংস খেলেই এই রক্তাক্ত উৎসবের বিরোধীতা করা যাবে না। একই দিনে হাজার হাজার পশুকে জবাই, সাধারণ মানুষের কসাই সাজা, রক্তের হোলি খেলার যে উৎসব তার সঙ্গে মাংস খাওয়া, না খাওয়ার কোন সম্পর্ক নাই।
এখন যদি আপনি গ্রাম ও শহরে গুলােতে ঘুরতে যান দেখবেন প্রতিটা বাড়ির সামনে একটা দুইটা করে গরু বাঁধা আছে । আপনি যদি ঈদের দিন বিকেলের দিকে ঘুরতে যান তাহলে দেখবেন দেখবেন স্থানে স্থানে পড়ে আছে গরুর পেটের ভিতরে থাকা অধ হজম হওয়া খড় , রক্ত , মাংস। যদি ঈদের পরের দিন ঘুরতে বের হােন দেখবেন রাস্তার মােড়ে চামড়ার বাজার , রাস্তায় রক্তের দাগ , বাতাসে যুদ্ধ শেষের বিধ্বস্ত দেশের মত লাশ পচা দুর্গন্ধ। এর পরে ঘুরতে বের হলে দেখবেন বাড়ির পাশে পড়ে আছে হাড় ঘাের, কোথাও বা কুকুর টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেসব আবর্জনা। ঠিক এইভাবে আপনি একটি পবিত্র "ধর্মীয়" উৎসব ঈদ উল আযহা উদযাপন হতে দেখবেন ও তাদের শুভেচ্ছা জানাবেন? অবশেষে ত্যাগের মহিমায় সিক্ত হবে গােটা বিশ্ব , খুশির ঠেলায় সমস্ত মুস লিমের প্রতি কৃপা বারি বর্ষণ করবেন পরম দয়ালু আল্লাহ।
কে আত্মত্যাগ করছে পশু নাকি আপনি? আমি এই পশু হত্যাযজ্ঞের বিরুধী। প্রান যাবে পশুর পুন্যি/ছোয়াব হইব আমার। মাংশ খেতো মন চাইলে এই ধর্মের নামে কেন ? হ ভাই ! অদৃশ্য একজনরে খুশি করতে গরুর গলায় ছুরি চালাতে দেখলে খারাপই লাগে । আল্লাহ তো এই পৈচাশিক হত্যাকান্ডে বহুত মজা পান। আমি নিজে এই পশু খুন প্রথার শুধু বিরোধি না; কট্টর বিরোধি। কারন, ভারতীয় সংস্কৃতি এইসব বা*ছাল সাপোর্ট করেনা। যারা করে তারা পা*গ*লা কু*ত্তা।
প্রথমত, "কোরবানি ঈদ" মানেই একটি উৎসব যেখানে পশু কোরবানি করা হয়। এটি একটি পশু হত্যার উৎসব। একটি উৎসব কি করে হত্যাযজ্ঞকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় সেটা আমার বুঝে আসে না।
দ্বিতীয়ত, গলায় ছুরি চালিয়ে নির্মমভাবে জবাই করে পশু হত্যা করা হয়। আধুনিক গবেষণায় প্রমানিত যে জবাই করে হত্যা পদ্ধতিতে পশু তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অক্ষত স্নায়ুর মাধ্যমে প্রচন্ড পরিমান ব্যাথা ও কষ্ট অনুভব করতে পারে।
ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ ইসলামের রাসুল হযরত ইব্রাহীম (আ.)কে স্বপ্নযোগে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন:
“ তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে কোরবানি কর।"
ইব্রাহিম কিছু উঠ বলি দেওয়ার পরেও এক আদেশ পেয়েছিল তারপর যখন ইব্রাহীম (আ.) আরাফাত পর্বতের উপর তার পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে তার পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তার পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি।
একবার ভাবুন তো
~~~~~~~~~~~
⚠️প্রশ্ন হলো , এই পুরো ঘটনার সাথে
গরু কোরবানি দেওয়ার কি সম্পর্ক?
⚠️যেই সময় এই ঘটনা ঘটেছিল বলা হয়
সেই সময় মধ্যপ্রাচ্যে কেউ গরু দেখেছিল বলে মনে হয় না।
⚠️ভারতবর্ষে এই কোরবানির দিন
গরু কাটার ইতিহাস কবে থেকে এবং কেন?
☢️ইসলামের সাথে গরুর সম্পর্ক নেই,
হিন্দুদের সাথে আছে। সেই বিশ্বাসকে আঘাত
করার জন্যই ভারতবর্ষে গরু কটা শুরু করানো হয়।
⛔দুদিন বা তিনদিন আগে কেনা একটা গরু কোন
মুসলমান ভাইয়ের প্রিয় জিনিস কিভাবে হতে পারে
যে সেটাকে তিনি তার ভগবানের জন্য উৎসর্গ করবেন?
⛔মোঘলরা এবং তার পরে ব্রিটিশরা এই গোহত্যা চালু
করেছিল হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দেওয়ার জন্য।
ভারতবর্ষের সংবিধান গোরক্ষার কথা বলে, মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক অর্ডার দিয়েছে এই কোরবানির বিরুদ্ধে। কেন মানা হয় না?
Fit to Slaughter সার্টিফিকেট নিয়ে কতগুলো গরু কাটা হয় ?
"যুক্তরাস্ট্রে" পোষা প্রানী হত্যা করে খাওয়া নিষেধ।তারা মনে করে এতে মানুষের মন হিংস্র,বর্বর হয়ে যায়।ভালবাসার কিছুকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করলে মন শক্ত হয়ে যায়।এতে মনের মানবতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
# সব চেয়ে প্রিয় আমাদের কাছে কি? গরু? ছাগল? উট? আসলে আমাদের কাছে সব চেয়ে প্রিয় টাকা টাকা।আমরা টাকার কোরবানি করি। তাহলে পশু কেন? সেই টাকা দিয়ে অনেক নানা রকম ভাল কাজ করা যায়।আমরা আসলে টাকাই ত্যাগ ও কোরবানি করি। মানুষের মনেও অনেক নানা রকম পশু আছে।হিংস্রতা পশু।লোভ পশু।অতি রাগ পশু,অতি ঘৃনা পশু,অজ্ঞতা পশু,হিংসা পশু,প্রতারণা পশু। এই পশু গুলর কোরবানি করো।তাহলেই তুমি {মানুষ} হবে।মনের ষড়রিপু কোরবানি করতে করতে মন থেকে হারিয়ে যাবে পশু সত্তা।যেমন পশু হত্যা করতে করতে মনের মানবতা নষ্ট হয়ে যায়!!রক্ত দেখে অভ্যাস ও স্বাভাবিক মনে হয়!!অথচ রক্ত কষ্টের প্রতীক! যুক্তরাস্ট্রে পশু খামারে পালন করা হয়।ও ফ্যাক্টরীতে কেটে কুটে প্যাকেট করা হয়।সাধারন মানুষ এসব দেখেই না।বাচ্চাঁরা তো কখনো দেখে না পশু হত্যা। রক্ত।তাই, তারা রক্ত দেখলে ভয় পায়! আর আমাদের শিশুরা কোরবানিরর সময় পশুর রক্ত দিয়ে খেলা করে! মজা পায়। ভারতীয় সংস্কৃতি বলে মনের পশু(ষড়রিপু) কোরবানি করো। "এসবি তোমার সব চেয়ে প্রিয় লোভ,হিংস্রতা,অতি রাগ,আমিতা শ্রেষ্ঠত্ব,অহংকার, কাম,হিংসা,ঘৃনা"।
আর আমরা হিন্দু। হিন্দু হিসাবে গরু কাটাকে আমরা সমর্থন করতে পারি না। আর ঈদ আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমাদের সংস্কৃতি ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি। কোনো বর্বর সংস্কৃতি হিন্দুরা কখনো সাপোর্ট করে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে কিছু বর্বর হিন্দু, আরবীয়দের সাথে থাকতে থাকতে বর্বর হয়ে এই তাদের সংস্কৃতিকে অনুসরন করছে। এটা মোটেও কাম্য নয়। আসুন আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে অনুসরন করি।
Like Our FB PAGE
https://www.facebook.com/history990