ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু ও হিন্দু নারীদের অকথ্য নির্যাতন ও ধর্মান্তর
এদেশ হতে লক্ষ লক্ষ হিন্দু নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস দাসী হিসাবে কাবুল, কান্দাহার, গজনী, বাগদাদ এমনকি সুদুর দামাস্কাসে নিয়ে গিয়ে সেখানকার ক্রীতদাসের হাটে বিক্রয় হতে থাকলাে। সুন্দরী হিন্দু নারীরা মুসলমানদের লালসার শিকারে পরিণত হতে থাকলাে। উজির নাজিররা নিজেরা হিন্দু কন্যা জোড় করে ধরে আনতে লাগলো, কিছু নিজেরা রেখে কিছু সম্রাটের জন্য উপহার পাঠিয়ে কিছু মিনা বাজারে বিক্রী করে ভারতবর্ষে যে হাহাকার সৃষ্টি করেছিল তা ঐতিহাসিকরা কি করে ভুলতে বলেন?
আগে হিন্দু সমাজের মেয়েরা ঘােমটা কাকে বলে জানত না। মুসলমানদের লালসার হাত হতে রক্ষা পাবার জন্যই হিন্দু নারীদের ঘােমটার প্রচলন শুরু হয়। অনেকেরই জানা নেই যে, বাংলা তথা উত্তর ভারতে হিন্দু মেয়েদের কেন রাতের অন্ধকারে বিয়ে দেয়া হয়। কোন বৈদিক যজ্ঞই রাত্রে করার নিয়ম নেই। দিনের আলাে থাকতে থাকতেই যজ্ঞ শেষ করার বিধি, তা সত্ত্বেও উত্তর ভারতে ও বাংলায় কেন রাতে যজ্ঞ করা হয় এবং কেন বর রাতে কনের বাড়ীতে যাওয়ার নিয়ম হল। কারণ রাতের অন্ধকারে কুমারী কন্যাকে পাত্রস্থ করে মুসলমানদের অগােচরে শ্বশুর বাড়ী পাঠিয়ে দেবার জন্যই এই বিধি প্রচলিত হয়। পক্ষান্তরে দক্ষিণাত্যে মুসলমানদের অনুপ্রবেশ কম হওয়ায় আজও দিনের আলােতেই সেখানে বিবাহ অনুষ্ঠান ও যজ্ঞ সম্পন্ন করা হয়। মুসলমান শাসকরা তাে বটেই, তাদের অনুচররা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলমানরা সিন্ধুকী’ (গুপ্তচর) লাগিয়ে হিন্দুর ঘরের সুন্দরী মেয়েদের খোঁজখবর নিত এবং গায়ের জোড়ে তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে লুটের মালে পরিণত করত।
এ ব্যাপারে ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার মহাশয় লিখেছেন, “দীনেশ চন্দ্র সেন হিন্দুমুসলমানের প্রীতির সম্বন্ধে উচ্ছসিত ভাষায় প্রশংসা করেছেন। কিন্তু তিনিও লিখেছেন যে, মুসলমান রাজা ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ সিন্ধুকী’ (গুপ্তচর) লাগিয়ে ক্রমাগত সুন্দরী হিন্দু ললনাদের অপহরণ করেছেন। ষােড়শ শতাব্দীতে #ময়মনসিংহের জঙ্গলবাড়ীর দেওয়ানগণ এবং শ্রীহট্টের বানিয়াচঙ্গের দেওয়ানগণ এই রূপ শত শত হিন্দু কন্যাকে যে বল পূর্বক বিয়ে করেছিলেন তার অবধি নাই। ঢাকার শাঁখারী বাজারের গােপন কুঠুরী ঘর তৈরীর পিছনেও যে ট্রাজেডি বিদ্যমান তা আপনারা সবাই জানেন। মুসলমান পরাধীনতার যুগের ভারতবর্ষের ইতিহাস একটু মনোেযােগ সহকারে অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে যে, যখনই কোন নতুন ব্যক্তি দিল্লীর সিংহাসনে বসেছেন তখনই তাকে রাজ্য বিস্তারের জন্য দৌড়াতে হচ্ছে।
তাকে গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যভারত ও দক্ষিণ ভারতে অভিযান করতে হচ্ছে। গােয়ালিয়র, রাজস্থান, রনথদ্যোর, চিতাের ইত্যাদি দুর্গ দখল করতে হচ্ছে এবং সেজন্য অনেক যুদ্ধ বিগ্রহে জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। কাজেই প্রশ্ন হল, কেন একই দূর্গ বা একই অঞ্চল বিভিন্ন বাদশাহকে বারবার জয় করবার প্রয়ােজন হচ্ছে? উত্তর একটাই মুসলমানরা কোন দূর্গ বা অঞ্চলে বেশীদিন এদের আধিপত্য অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হন নাই। স্থানীয় এসব রাজারা ক্রমাগত বিদ্রোহ করে স্বাধীনতা ঘােষণা করেছে; মুসলমান শাসনকে অস্বীকার করেছে। তাই একই অঞ্চল বারবার বাদশাহদের জয় করার প্রয়ােজন হয়েছে। এই তথ্য থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ভারতের হিন্দু শক্তি আক্রমণকারী মুসলমান শক্তির সঙ্গে নিরস্তুর সংঘর্ষ করেছে এবং অসংখ্য হিন্দুবীর এই সংঘর্ষেরক্ত দিয়েছে; প্রাণ দিয়েছে। বিদেশী মুসলমান শক্তিকে এক মুহূর্তও নিশ্চিন্তে থাকতে দেননি।
তাই ড. কে. এম. মুন্সী লিখেছেন, “
এ হল স্বাধীনতা রক্ষার খাতিরে নিতান্ত বালক থেকে শুরু করে মৃত্যু-পথ-যাত্রী বৃদ্ধ পর্যন্ত অগণিত মানুষের বিরামহীন সংঘর্ষ, নিরন্তর বীরত্ব প্রদর্শন ও প্রাণ বিসর্জনের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। এ হল মাসের পর মাস, কখনাে বছরের পর বছর ধরে দুর্গের অভ্যন্তরে থাকা বীর যােদ্ধাদের যুদ্ধের ইতিহাস। দূর্গ আক্রমণকারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলতে থাকা এক বিরামহীন সংগ্রামের ইতিহাস। এ হল সম্মান রক্ষার্থে হাজার হাজার হিন্দু নারীর জুলন্ত অগ্নিতে আত্মাহুতি দেবার এক দীর্ঘ ইতিহাস। এ হল দাসত্বের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পিতামাতার দ্বারা অবােধ শিশুকে কুপের জলে নিক্ষেপ করার এক করুণ ইতিহাস। এ হল অন্তহীন হামলাকারীদের নিরন্তর আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য রুশ যােদ্ধাদের দ্বারা মৃত সৈনিকের স্থান পূরণ করার এক বিভীষিকাময় ইতিহাস।” আমরা সেই মাটিতে বাস করছি, যে মাটি হাজার বছর ধরে কোটি কোটি পিতার, মার, ভাইয়ের, বােনের অশ্রুজলে সিক্ত। পিতা মাতা ভাইয়ের সামনে বােনকে টেনে নিয়ে গিয়ে হারেমে নির্লজ্জ কুকুরের মত ব্যবহার করেছে, ভাই খােজা হয়ে তাকে পাহারা দিয়েছে।
এ সেই করুণ ইতিহাস যেখানে কন্যা সন্তানের জন্মকে অভিশাপ মনে করে পিতা মাতা গঙ্গাসাগরে ভগবানের নামে উৎসর্গ করে দিয়েছে। নিজ হাতে সন্তান হত্যার বুকফাটা আর্তনাদ পিতা মাতা হাজার বছর চেপে রেখেছে। কারণ সন্তান জন্মের পর বিসর্জনের যে কষ্ট তার চেয়ে বেশী কষ্ট হবে যখন চোখের সামনে মুসলমানরা ধরে নিয়ে কুকুরের মত ব্যবহার করবে। যেখানে দিনের পর
দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী চলেছে। হিদুর রক্তে হােলি খেলা, জিজিয়া, থেরাজ আদায়ের ফলে বুভুক্ষ মানুষের হাহাকার। এ সেই মাটিতে আমরা বাস করছি, যে মাটিতে হাজার বছর ধরে মিশেছে কোটি কোটি হিন্দুর রক্ত ও অশ্রুর বন্যা, পিতার হাহাকার, বােনের আর্ত চিৎকার, ভাইয়ের রক্ত, মাতার অসহায় দৃষ্টি। সে মাটি আজও ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদে।
অনেকের মনে এই ধারণা থাকতে পারে যে, মুসলমানদের দ্বারা ব্যাপক হারে
হিন্দু হত্যা হিন্দুর সম্পত্তি লুটপাট করে আত্মসাৎ করা, হিন্দু নারীদের জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে লুটের মালে পরিণত করা ইত্যাদি ঘটনা এক কালে মধ্যযুগে ঘটেছে বটে, তবে আজ আর তার পুনরাবৃত্তি হবে না। আজ দেশ ও সমাজ সভ্যতার পথে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে; তাই মুসলমানদের কাছ থেকে এই সব বর্বরতার আশঙ্কা নেই। মধ্য যুগ নেই ; তাই মধ্যযুগীয় বর্বরতাও হবে না। এই সব ব্যক্তিদের জানা নেই যে, সমস্ত পৃথিবী সভাতার পথে অগ্রসর হলেও ইসলাম ও কোরান এবং সেই সঙ্গে মুসলমান সমাজ আজও সেই মধ্য যুগেই দাঁড়িয়ে আছে। তারা সভ্যতার পথে এক পাও অগ্রসর হয়নি। যে কোরান ও হাদিস মধ্য যুগের মুসলমানদের সমস্ত রকম বর্বর কাজে অনুপ্রাণিত করত, সেই একই কোরান ও হাদিস আজকের মুসলমান সমাজকেও পূর্বোক্ত সকল রকম কাজে একই ভাবে প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। কোরানের ও হাদিসের কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই কাফেরের প্রতি মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি।
শুধু সুযােগের অপেক্ষা মাত্র। অনুকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আজও মুসলমানরা কাফের কেটে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেবে। কাফেরের মৃতদেহ দিয়ে পাহাড় তৈরী করবে, কাফের নারীদের লুটের মালে পরিণত করবে এবং কাফেরদের মন্দির ভেঙে ধুলায় মিশিয়ে দেবে। তফাৎ শুধু এই, এক কালের তলােয়ার, শুল, বর্শা, তীর-ধনুক ইত্যাদির বদলে আজ একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড, মটার, রকেট, বােমা, বিমান ইত্যাদি উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার হবে। উদ্দেশ্য একটাই, কাফের নির্মূল করে সারা বিশ্বে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করা। মুসলমানদের মন মানসিকতার যে কোন পরিবর্তন নেই তার উদাহরণ হল ২০০২ সালেও আফগানিস্থানে বামিয়ানের বৌদ্ধ মূর্তি সারা বিশ্বের বাধা নিষেধকে অমান্য করে মুসলমানরা ধ্বংস করে ফেলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা অনেকেরেই হয়ত মনে আছে। আনােয়ার শেখের ভাষায়, “বিগত ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলায় হিন্দুদের উপর যে নারকীয় বর্বরতার অনুষ্ঠান করা হয়েছে তার তুলনা মানব ইতিহাসে অনুপস্থিত। বহু ক্ষেত্রে সমগ্র অধিবাসীকেই ঘিরে ফেলে অত্যাচার চালানাে হয়েছে। মা এবং মেয়েকে এক সঙ্গে তাদের বাবা ভাইয়ের সামনে বলাৎকার করা হয়েছে। মহিলাদের স্তন কেটে ফেলা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে এবং মেঝেতে আছাড় মেরে শিশুদের মাথা থেলে দেওয়া হয়েছে। তারপর বয়স্ক পুরুষদের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে এবং সব শেষে ধড় থেকে মাথা আলাদা করা হয়েছে। চরম উল্লাসের আনন্দ পাবার জন্য পরিবারের সবাইকে একটা ঘরে ঢুকিয়ে সেই ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। [Anwar Sheikh, This is Jehad']
সবশেষে কয়েকজন মনীষীর বাণী স্মরণ করে এই পর্বের আলােচনা শেষ করব। “ইসলাম হচ্ছে এক রাজনৈতিক আক্রমণকারী পরধর্ম অসহিষ্ণু বিস্তারবাদী আন্দোলন। যারা আল্লাহ মানে না, যাদের কোরানে বিশ্বাস নেই কিংবা মূর্তি পূজার মাধ্যমে উপাসনা করে, এমন নাগরিকদের দেশের উপর আক্রমণ করে তাদের পরাভূত করা, তাদের সম্পত্তি লুটপাট করা, তাদের মহিলাদের "লুটের মাল” হিসাবে সৈনিকদের দ্বারা বলৎকার করানাে, তাদের ধর্মান্ত্ররণ করে মুসলমান করা, আর যারা ধর্মান্তরিত হলাে না, তাদের উপর অত্যাচারের পুনরাবৃত্তি অবিরত চালু রাখা — এই হচ্ছে কোরানের শিক্ষা।" - গােপাল গডসে।
“পৃথিবীর দুইটি ধর্ম সম্প্রদায় আছে অন্য সমস্ত ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অত্যুগ্র— সে হচ্ছে খৃষ্টান আর মুসলমান ধর্ম। তারা নিজেদের ধর্মকে পালন করেই সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধর্মকে সংহার করতে উদ্যত। এই জন্যে তাদের ধর্ম গ্রহণ করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার অন্য কোন উপায় নেই।” – রবীন্দ্রনাথ। (রবীন্দ্ররচনাবলী,জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ, ত্রয়ােদশ খণ্ড, পৃ- ৩৫৬)
“বস্তুত মুসলমান যদি কখনও বলে হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চাই, সে যে ছলনা ছাড়া আর কিছু হইতে পারে, ভাবিয়া পাওয়া কঠিন।”
"হিন্দু-মুসলমান মিলন একটি গালভরা শব্দ, যুগে যুগে এমন অনেক গালভরা বাক্যই উদ্ভাবিত হইয়াছে, কিন্তু ঐ গাল ভরানাের অতিরিক্ত সে আর কোন কাজেই আসে নাই।” -- শরৎ চন্দ্র।(শরৎ রচনাবলী জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ, তৃতীয় খণ্ড, পৃ-৪৭৩)
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “মুসলমানরা এই বিষয়ে সর্বাপেক্ষা অপরিণত ও সাম্প্রদায়িক ভাবাপন্ন। তাদের মূল মন্ত্র আল্লাহ এক এবং হযরত মুহাম্মদই একমাত্র রসুল। যা কিছু এর বহির্ভূত সে সমস্ত কেবল খারাপ তাই নয়; উপরন্তু সে সমস্তই তৎক্ষণাৎ ধ্বংস করতে হবে; যে কোন পুরুষ বা নারী এই মতে সামান্য অবিশ্বাসী তাকে নিমিষে হত্যা করতে হবে; যা কিছু এই উপাসনা পদ্ধতির বহির্ভূত তাকেই অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে হবে; যে কোন গ্রন্থে অন্যরূপ মত প্রচারিত হয়েছে সেগুলি
দগ্ধ করতে হবে। প্রশান্ত মহাসাগর হতে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত ব্যাপক এলাকায় দীর্ঘ পাঁচ শত বছর ধরে পৃথিবীতে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে, ইহাই মুসলমান ধর্ম।” “আরবের পয়গম্বর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ধর্ম দ্বৈতবাদকে যেভাবে আশ্রয় করে আছে, অন্য কোন ধর্মে তেমনটি আর দেখা যায়নি। এমন অন্য কোন ধর্ম পাওয়া যায়নি, যেখানে এই পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে এবং অপরের প্রতি এত নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে।
কোরানের বিচারে যে ব্যক্তি এর শিক্ষায় অবিশ্বাসী সে নিধনযােগ্য। তাকে হত্যা করার অর্থ তার প্রতি দয়া প্রদর্শন। এই কাফের নিধন হচ্ছে স্বর্গে পৌঁছাবার সুনিশ্চিত পথ। এই স্বর্গ অসামান্য রূপসী হুরিতে পরিপূর্ণ এবং সেখানে ইন্দ্রিয়তৃপ্তির সর্ববিধ ব্যবস্থারয়েছে”। (স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী (প্র্যাকটিক্যাল বেদান্ত), ৪র্থ খণ্ড, পৃ-১২৫ ও ২য় খণ্ড, পৃ- ৩৫২)।
ইসলাম ধর্মীরা কোরানের দুইটি আয়াত, ‘পৌত্তলিকদের যেখানে পাও হত্যা কর।” এবং 'অতএব ধর্মযুদ্ধে তাদের বন্দী করে হয় বশ্যতার অঙ্গীকার নতুবা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দাও’ অনুযায়ী ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে বলে যে, বহু দেবদেবীতে বিশ্বাসী পৌত্তলিকদের হত্যা বা নির্যাতন করা ঈশ্বরের নির্দেশ এবং আবশ্যিক। সুতরাং ইসলাম ধর্মীদের ধর্মীয় উন্মাদনা এবং ঈশ্বরের নির্দেশ পালনে অত্যুৎসাহিতা সেই পৌত্তলিকগণকে হত্যা ও নির্যাতন করতে একালে বা সেকালে কখনই বিরত হয় নাই।”- রাজা রামমােহন রায়। (তুহফাৎ-উল-মুওয়াহিদ্দীন, রামমােহন স্মরণ, মার্চ ১৯৮৯, পরিশিষ্ট, পৃ৩১)
https://www.facebook.com/history990
এমন আরো তথ্য জানতে Bengal Hindu এর সাথেই থাকুন।
এছাড়া আমাদের অনুপ্রানিত করার জন্য দয়াকরে নিচের এই "ads" এ একটি ক্লিক করে দিবেন।