Translate

পৃথিবী সম্পর্কিত পবিত্র বেদাদির কিছু তথ্য || Some information about the holy Vedas about the world

 

Some information about the holy Vedas about the world


পৃথিবী গোলাকার ন্যয়:

"পরিমণ্ডল উ বা অয়ং(পৃথিবী) লোকঃ।"
(শতপথ ব্রাহ্মন ৭.১.১.৩৭)

অর্থাত্‍ পৃথিবী প্রায় গোলাকার(আমরা জানি যে পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়,দুই মেরুতে চ্যপ্টা)


পৃথিবী চুম্বকের ন্যয়
মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন সর্বপ্রথম বলেন যে পৃথিবীর একটি শক্তিশালী চুম্পকক্ষেত্র রয়েছে।

ঋগ্বেদ ৭.১৫.১৪ এ বলা হয়েছে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ "আযসৌ" বা ধাতব পদার্থ দিয়ে পূর্ন যা মরুত্‍ এর প্রভাবে আকর্ষন করতে পারে।

ঐতরেয় ব্রাহ্মন ১.২৩ এ বলা হয়েছে,
তে বা অয়রুমযৌম্ এবমাং পৃথিবীম্ অকুর্বত্।
অর্থাত্‍ পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ অযরুমযৌম (আকর্ষনক্ষমতাযুক্ত) পদার্থে পূর্ন।আর সংস্কৃত ব্যকরনে এই অযরুমযৌম পদার্থকে লৌহযুত্তকাম বা লৌহজাতীয় পদার্থযুক্ত বলা হয়।

কৌশিতকি ব্রাহ্মন ৮.৮ এ ও একই ধারনা দেয়া হয়েছে-
"অযরুমযৌং পুরোং অস্মিত্ অকুর্বত্।"
অর্থাত্‍ পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ লৌহজাতীয় আকর্ষনক্ষমতাযুক্ত পদার্থে পরিপূর্ন।

একই কথা বলা হয়েছে তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মন ৩.৯.৬.৫ এ-
"অস্য বং লোকস্য রুপম্ অযরুমযোঃ সুস্যঃ।"

আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী আমরা জানি যে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ গলিত ধাতব পদার্থে পরিপূর্ন যার কারনে পৃথিবী একটি শক্তিশালী চুম্বকের ন্যয় কাজ করে।

পৃথিবীর অভ্যন্তর যে উত্তপ্ত তাও উল্লেখ করেছে পবিত্র যজুর্বেদ ১১.৫৭-
"মাতা যেমন তার গর্ভে পুত্রকে ধারন করে ঠিক তেমনি ধরিত্রী তার অভ্যন্তরে উত্তপ্ত পদার্থসমূহকে ধারন করে আছে।"

শতপথ ব্রাহ্মন ১৪.৯.৪.২১ এ ব্যপারে বলেছে,
"অগ্নিগর্ভা পৃথিবী"

সৌরজগতের গ্রহসমূহের মধ্যে পৃথিবী ই সবচেয়ে আগে সৃষ্টি হয়েছে

পবিত্র বেদ অনুযায়ী পৃথিবী ই সৌরজগতের সৃষ্ট প্রথম গ্রহ

ঋগ্বেদ ১.১৮৫.১ এ বৈদিক ঋষি প্রশ্নাকারে বলেছেন,
"এদের মধ্যে কোনটি আগের,কোনটি পরের?কিভাবে এগুলোর সৃষ্টি হয়?"

শতপথ ব্রাহ্মন ৬.৫.৩.১ বলছে,
"ইয়মু পৃথিবী বা এবাং লোকানাং প্রথমাহসুচ্যন।"
অর্থাত্‍ গ্রহসমূহের মধ্যে পৃথিবী ই প্রথমে সৃষ্টি হয়েছে।

আধুনিক বিজ্ঞান ও বলছে যে সৌরজগতের মধ্যে পৃথিবী ই সবার আগে উত্তপ্ত পরিবেশ থেকে ঠান্ডা হয়ে স্থিতি লাভ করেছে যদিও এটা সূর্য থেকে দূরত্ব হিসেবে তৃতীয় গ্রহ।এ থেকে আমরাও ধারনা করতে পারি যে গ্রহসমূহের মধ্যে পৃথিবী ই প্রথম।

পৃথিবীর গতি:
"আর্যং গোঃ পৃশিতরক্ষমোদসদত্ মাতরং পুরঃ।
পিতরং চ প্রযত্নবঃ।।
(যজুর্বেদ ৩.৬)

অনুবাদ-পৃথিবী তার মাতারুপ তরলসমূহকে নিয়ে(যেহেতু উত্তপ্ত তরল থেকে সৃষ্টি হয়েছে) পিতারুপ সূর্যের(যেহেতু সূর্য থেকে পাওয়া শক্তির মাধ্যমেই জীবধারন করে) চারপাশে নিজ অক্ষে প্রদক্ষিন করে।





TAGS:

vedas
atharva
rigveda
yajurveda
4 vedas
sama veda
ayur veda
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url