ঈশ্বর কি আছেন? যদি থাকেন তাহলে ঈশ্বর কে আমরা দেখতে পাই না কেন? - দাদা বাবু
ঈশ্বর কি আছেন? যদি থাকেন তাহলে ঈশ্বর কে আমরা দেখতে পাই না কেন?
আমি গবেষণা করে এটাই পেয়েছি যে ঈশ্বর আছেনঃ ঈশ্বর ওম রশ্মির দ্বারা এই সমস্ত বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড সমস্ত ইউনিভার্স সৃষ্টি করেছেন। বাকি কাজ সবাই আপনা আপনি ভাবেই করছে।
যেমন পৃথিবী তার নিজস্ব গতিতে ঘুরছে। কেউ তাকে ঠেলে ঘুরাতে হচ্ছে না। গাছ আপনা আপনি ভাবেই বড় হচ্ছে। কেউ তাকে টেনে বড় করাচ্ছে না।আপনি আমি সবাই নিজে নিজেই কর্ম করে যাচ্ছি। ঈশ্বর আমাদের ঠেলে কর্ম করাচ্ছে না।
পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিজে নিজেই কর্ম করছে ঈশ্বর কাউকে ঠেলে কর্ম করাচ্ছে না। ঈশ্বর শুধু কর্ম করার জন্য প্রকৃতি কে শক্তি দিয়ে যাচ্ছেন। প্রকৃতি থেকে আমরা শক্তি পেয়ে টিকে আছি। প্রকৃতির সেই শক্তি পেয়ে সমস্ত জীব প্রাণী উদ্ভিদ মানুষ নিজ নিজ ভাবে কর্ম করে যাচ্ছে। ঈশ্বর বা প্রকৃতি আমাদের ঠেলে কর্ম করাচ্ছে না। নিজেরাই নিজেদের কর্ম করছি। এখন যে যেমন কর্ম করবে তেমনি ফল ভোগ করবে। সেটা মানুষ বলুন আর প্রাণী বলুন।
ঈশ্বর মানুষের কোনো কর্মে হস্তক্ষেপ করেন না। ঈশ্বর প্রকৃতি কে শক্তি দেন প্রকৃতি থেকে আমরা শক্তি পেয়ে আমাদের দৈনিন্দন কাজ করছি। যেমন সূর্য তাপ দিচ্ছে বিধায় উদ্ভিদ বলুন মানুষ বলুন আর প্রাণী বলুন সবাই টিকে আছি। এই শক্তির ফলে উদ্ভিদ মানুষ প্রাণী টিকে আছি। ফলে আমরা নিজেরা কর্ম করে যাচ্ছি। সূর্য কিন্তু নিজে নিজেই উদয় হচ্ছে তাপ দিচ্ছে আবার অস্ত হচ্ছে। আবার মানুষ, প্রাণী উদ্ভিদ সবাই নিজেরা নিজেরাই কর্ম করছে। কিন্তু আমাদের শক্তি যোগাচ্ছে সূর্য। এদিকে সূর্যকেও কেউ না কেউ টিকিয়ে রেখেছে বা শক্তি প্রদান করছে যার ফলে সূর্য নিজে নিজে তার কর্ম করতে পারছে।
তাই কথায় আছে যেমন কর্ম তেমন ফল। সূর্য যদি তার কর্ম না করে সেটার ফল তাকে তার নিয়ম অনুযায়ী ভোগ করতে হবে। তেমনি মানুষও যেমন কর্ম করবে ঠিক তেমনিই ফল ভোগ করতে হবে। ঠিক এই সিস্টেমেই ঈশ্বর সমস্ত বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড সমস্ত ইউনিয়নের মাল্টি ইউনিভার্স, সুপার ইউনিভার্স সৃষ্টি করেছেন ও তাদের এনার্জি দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এই বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড সেই শক্তির দ্বারা কাজ করে যাচ্ছে। ঈশ্বর প্রকৃতিকে এনার্জি দিচ্ছে আর আমরা প্রকৃতি থেকে এনার্জি নিচ্ছি। এর কারণও আছে যা নিচে দিলাম।
এটা ঠিক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুগে ঈশ্বর বা পরমাত্মা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে মানুষকে পথ দেখিয়েছেন। কারণ আমরা ভৌতিক জগৎে বসবাস করি। এর ফলে আমরা অতীতে কোনো কথা আমাদের মনে নেই ও ভবিষ্যত সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। আমরা মানুষরা শুধু বর্তমান টাকেই বিশ্বাস করি। এর কারণ আমরা ভৌতিক জগৎে বিদ্যামান। আমরা সূর্যের আলো থেকে যে শক্তি পাই ও তার কারণে যে টিকে আছি সেটা বিশ্বাস করি। কারণ সূর্যেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি ও তার আলো উপলব্ধি করতে পারছি। ভৌতিক জগৎে বাস করি বিধায় সেটাই ভাবছি। কিন্তু ঈশ্বরের সেই এনার্জিকে আমরা সরাসরি পাই না।
কারণ আমাদের আত্মা বিভিন্ন কারণে অপবিত্র হয়ে যায়। ফলে ঈশ্বরের পবিত্র শক্তি মানুষের শরীরের সরাসরি প্রবেশ করে না৷ ঈশ্বরের শক্তি জল বায়ু তাপকে শক্তি দেয়। যাকে প্রকৃতি বলি আমরা। তারপর প্রকৃতি আমাদের টিকে থাকতে শক্তি যোগায়। এই কারণে ঈশ্বর মানব জীব ও উদ্ভিদ কে টিকিয়ে রাখতে পঞ্চ মহাভূত সৃষ্টি করেছেন। যাকে প্রকৃতি বলি। যেমন বায়ু আকাশ জল তাপ মাটি। ঈশ্বর প্রকৃতি কে শক্তি দেয় টিকে থাকার জন্য। প্রকৃতি সেই শক্তি পেয়ে নিজে নিজে কর্ম করে। আবার প্রকৃতির শক্তি পেয়ে আমরা সকল মানুষ জীব উদ্ভিদ টিকে আছি। এই পঞ্চমহাভূত বা প্রকৃতি হচ্ছে পবিত্র। তাই এরা ঈশ্বরের শক্তি সরাসরি পায়।
কিন্তু আমাদের আত্মা জন্মের পর আস্থে আস্থে পাপ কাজে লিপ্ত হই। ফলে সেই আত্মা ঈশ্ব্রেরের শক্তি পায় না সরাসরি। তাই আমরা মনে করি জল বায়ু তাপ বা প্রকৃতি না থাকলে মানুষ বাচে না। তাই এটাকে বলা হয় ভৌতিক জগৎ। ঈশ্বরের শক্তি সরাসরি পেতে হলে ঈশ্বরের ধ্যানে মগ্ন হতে হবে। সেটা কিভাবে হয় নিচে বলেছি। আবার এটাও ঠিক আমরা ভৌতিক জগৎে বাস করি বিধায় অতীতে কি হয়েছে ও ভবিষ্যতে কি হবে তা জানতে পারিনা। যা উপরেই বলেছি। তাই ঈশ্বর শব্দটি ও ঈশ্বরের এনার্জি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য ঈশ্বর কে মানুষ যাতে মনে রাখে তার জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন সময়ে ঈশ্বর মানুষ রুপে এই ধরাধামে উপস্থিত হয়ে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন ও সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করেন।
এখন মানুষ সেই সঠিক পথ না ধরলে সেই ভাবে কর্ম না করলে সেরকম ফল ভোগ করবে। মানুষ ঈশ্বরের দেখানো পথে যদি কর্ম করে তাহলে আত্মা পবিত্র থাকবে তখন ঈশ্বর কে দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু মানুষ তা করেনা বিধায় ঈশ্বর কে দেখতে বা ঈশ্বরের শক্তি উপলব্ধি করতে পারেন না৷ কারণ আত্মা অপবিত্র হয়ে যায়।
এবার আসুন ঈশ্বরের শক্তি ও ঈশ্বরকে সরাসরি কিভাবে ও কখন দেখতে পাওয়া যাবে সেটা জানুন
আমি বলবো না৷ তারা ঈশ্বর কে দেখেন নি। কিন্তু ঈশ্বর যে আমাদের যে শক্তি প্রদান করছেন সেটা দেখেছেন ও উপলব্ধি করে ফেলেছেন। ওই যে উপরে বললাম ঈশ্বর আমাদের শুধু শক্তি প্রদান করে বাকি সমস্ত কিছু নিজ নিজ অনুসারে কর্ম করে। ঈশ্বর যে শক্তি প্রদান করছে আমরা ভৌতিক জগৎে বাস করি বিধায় খালি চোখে সেটা দেখি না। সেটা দেখতে হলে দিব্য দৃষ্টির প্রয়োজন। যেটাকে third eye বলি। শ্রী কৃষ্ণও অর্জুনকে দিব্য দৃষ্টি প্রদান করে তার রুপ দেখিয়েছিলেন। দিব্য দৃষ্টি বলতে আত্মার চোখ দিয়ে দেখতে হবে। আমরা ভৌতিক জগৎে বাস করি বিধায় খালি চোখে দেখি না।
দিব্য দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হলে ধ্যান করতে হবে। ধ্যানের মাধ্যমে আত্মাকে চেনা যায়। আত্মাকে চেনার পর আত্মার দৃষ্টি দিয়ে ঈশ্বর যে শক্তি প্রদান করছেন তা দেখা যায় ও উপলব্ধি করা যায়। এরপর সেই মানুষ ঈশ্বরের সেই শক্তিতে বিলীন হয়ে যায়। তখন তার আত্মা পবিত্র হয়ে যায়। তারপর সেই মানুষের মৃত্যু হলে তার পবিত্র আত্মা পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। ফলে সেই আত্মা আর পৃথিবী তে জন্মগ্রহণ করে না৷ কিন্তু মানুষ এই ভাবে ঈশ্বর ধ্যানে মগ্ন থাকি না। তাই আমাদের আত্মা অপবিত্র থাকে। ফলে মৃত্যুর পর অপবিত্র আত্মা পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করে না। ফলে সেই আত্মা কে আবারও পৃথিবী তে জন্মগ্রহণ করতে হয়। এভাবে করে মানুষের আত্মা জীবন চক্রে ঘুরতে থাকে। ফলে এই অপবিত্র আত্মার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব ঈশ্বরের প্রকৃত রুপ দেখতে পাই না।
সর্বশেষ - যতটুকু রিসার্চ করে বুঝেছি ধ্যান করতে করতে একসময় একজন মানুষের শরীরে আস্থে আস্থে ঈশ্বরের শক্তি বা উর্জা প্রবেশ করে। তখন সেই মানুষ তা উপলব্ধি করে। ফলে সেই আত্মা পবিত্র হয়। তারপর সেই ব্যাক্তি ঈশ্বরের সেই শক্তিতে বিলীন থাকে। তারপর আস্থে আস্থে একটা সময় সেই আত্মার দৃষ্টি বা দিব্য দৃষ্টি খোলে। এতদিন সেই ব্যাক্তি ঈশ্বরের শক্তি উপলব্ধি করেছিলো কিন্তু আত্মার দৃষ্টি বা দিব্য দৃষ্টি খোলার পর সেই ব্যাক্তি ঈশ্বর যে শক্তির দ্বারা সমস্ত বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড টিকিয়ে রেখেছেন বা চালাচ্ছেন তখন সেই শক্তি দিব্য দৃষ্টির মাধ্যমে দেখতে পায়। একটা সময় সেই ব্যাক্তির এই ভৌতিক জগৎ আর ভালো লাগে না। ঈশ্বরের দেখানো পথে সে কর্ম করে৷ কোনো ফল আশা করেনা সে।
সমস্থ কিছু ত্যাগ করে সে ঈশ্বরের ধ্যানে মগ্ন থাকে ও ঈশ্বরের দেখানো পথে কর্ম করে । একটা সময় মৃত্যুর পর সেই পবিত্র আত্মা পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করে। তাকে আর এই জগৎে জন্মগ্রহণ করতে হয় না। কিন্তু আমরা তা করি না এবং ঈশ্বরের দেখানো পথ অবলম্বন না করে বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত থাকি বিধায় আমাদের আত্মা অপবিত্র হয়ে যায়। আর এই অপবিত্র আত্মার দ্বারা ঈশ্বর কে ডাকলে ঈশ্বরের এনার্জি দেখতে পাওয়া যাবে না। কারণ ঈশ্বর ও তার এনার্জি পবিত্র। এর ফলে দিব্য দৃষ্টি জাগ্রত হয় না। এর ফলে ঈশ্বরের শক্তি দেখতে ও উপলব্ধি করতে পারিনা৷ ফলে এই মৃত্যুর পর আমদের অপবিত্র আত্মা পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করতে পারেনা। ফলে তাকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হয়।
এটা আমার একান্ত নিজস্ব গবেষণা। লেখাটি পড়েই যে বিশ্বাস করতে হবে তা না। লেখাটির সাথে গীতায় বর্নিত লেখার সাথে মেলান তাহলে বুঝবেন৷ ভূল হলে ক্ষমা করবেন৷।