মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত জেনারেল চিত্ত রঞ্জন দত্ত | Sojasapta2
গভীর শ্রদ্ধায় স্মরন করছি বাংলাদেশের সনাতন ধর্মালম্বী, একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত জেনারেল সিআর দত্ত।
Born: January 1, 1929, Shillong, IndiaDied: August 25, 2020, Florida, United States
Award: Bir Uttom
Rank: Major General
যিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। ১৯৮৮ সালে সামরিক সরকার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করলে তিনি সরাসরি এর প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন রাষ্ট্রকে ধর্ম-ভিত্তিক করার জন্য যুদ্ধ করিনি। ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হলে আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়ে যাব। কিন্তু ১৯৭১-এ আমরা কেউ দ্বিতীয় শ্রেণীর ছিলাম না।
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবাই এক সাথে যুদ্ধ করেছি। তত্কালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট এরশাদকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করলেও এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, এ সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এর প্রতিবাদে ১৯৮৮ সালে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ গঠন করেন এবং এই ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে তিনি অসাম্প্রদায়িক ঐক্যের ডাক দেন।
কিন্তু সে সময় ঐক্য পরিষদ আর এখনকার ঐক্য পরিষদের কার্যক্রম কি এক? তখনকার ঐক্যপরিষদ অধিকারের কথা বলতো সংখ্যালঘুদের কথা বলতো? আমরা কি পারি না আবার ঐক্য পরিষদকে সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা বলতে?
মানুষকে অসাম্প্রদায়িকতার মন্ত্রে দীক্ষিত করতে চান তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটিরও তিনি সভাপতি ছিলেন। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি সরকার ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সংগঠনের কাছ থেকে পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন। মেজর জেনারেল সি. আর. দত্ত ছিলেন একজন সৈনিক। সৈনিকের যুদ্ধ কোনোদিনও শেষ হয়না। তাই তিনি যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধেও। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠন করে সারা দেশে রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের বিচারের দাবিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন।অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার জন্য ২বার তাকে হত্যা করার চেস্টা করা হয়। ২৪শে আগস্ট আমেরিকায় মৃত্যু বরন করেন এ অকুতোভয় সৈনিক। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এই সনাতনী বীরকে।
