কাশ্মীর ভ্যালি থেকে সর্বশেষ হিন্দু মহিলা পালিয়ে চলে আসে | The last Hindu woman escaped from the Kashmir Valley
ভারতের পত্রিকাগুলো কাশ্মীরের হিন্দুদের 'পণ্ডিত' বলে
আজকের পত্রিকায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে: কাশ্মীর ভ্যালি থেকে সর্বশেষ হিন্দু মহিলা পালিয়ে চলে এসেছে। প্রতিবেশী এক মুসলিম পরিবারকে আপেলের বাগান দিয়ে এসেছে। না দিয়ে উপায় নেই, পয়সা দিয়ে কেউ তো আর হিন্দু সম্পত্তি কিনবে না। কারণ তারা জানে যে, কাশ্মীর থেকে হিন্দুরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে - সুতরাং হিন্দু সম্পত্তি অটোমেটিক তাদের হাতে চলে আসবে।
কাশ্মীর উপত্যকা একটি হিন্দু বিহীন এলাকায় পরিণত হচ্ছে। ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে তো ৯০% হিন্দু উপত্যকা ছেড়েই দেয় আর তারপর যারা অবশিষ্ট রয়েছে তারাও ধীরে ধীরে উপত্যকা ছেড়ে চলে আসছে আর এইভাবে চলতে চলতে সম্পূর্ণ হিন্দু বিহীন হয়ে যাবে উপত্যকা। গত ১৫ অক্টোবর সুফিয়ান জেলায় একজন কাশ্মীরি পন্ডিতের হত্যা হয় এবং উনার গ্রামে যে ১২-১৩ টি হিন্দু পরিবার ছিল সকলেই উপত্যকা ছেড়ে দিয়েছেন। গ্রামের মন্দির খালি পড়ে আছে, আপেল বাগানগুলি পড়ে আছে, বড়ো বড়ো বাড়ি পড়ে আছে।
সরকারপন্থী ব্লগার ও ইউটিউবাররা বলার চেষ্টা করছে যে, এটা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির সর্বশেষ সাফল্য। এরকম একজনের কাছে আমি জানতে চেয়েছি, কাশ্মীর ভ্যালি থেকে হিন্দু বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কী ধরনের সাফল্য? নাকী এটা ব্যর্থতা? আসলে এই ছাগল গুলোর সঙ্গে কথা বলে কোন লাভ নেই। এগুলো এক একটা কূপমণ্ডূক। অর্থাৎ এরা যে কুয়োর মধ্যে বসবাস করে, সেই কুয়োটাকেই সমস্ত পৃথিবী মনে করে।
প্রায় একমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের পথে-প্রান্তরে ঘুরে- সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে, আমার মনে হয়েছে: পূর্ববঙ্গ থেকে যদি হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে না আসতো, তাহলে এই রাজ্যে অনেক আগেই হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতো এবং কাশ্মীরের মতোই পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে হিন্দুরা পালাতে বাধ্য হতো।
ছোটবেলা ভীষণ ধার্মিক ছিলাম। মন্দিরে যেতাম, আলোচনা শুনতাম, গান শুনতাম। যে গানটি প্রায়ই শুনতে পেতাম, সেই গানটির কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি। যেখানে ধার্মিকরা বলছে, 'যে জ্ঞান তাকে ভুলিয়ে দেয় - সেই জ্ঞানের দরকার নেই'। অথচ সনাতন ধর্মগ্রন্থের নাম 'বেদ'। বেদ শব্দের অর্থ 'জ্ঞান'।
কিছুটা বড় হয়ে লক্ষ্য করেছি, প্রতিটা ধর্মশালা এক একটা 'ব্যবসা কেন্দ্র'। মানুষের অন্ধভক্তি ও অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে, একশ্রেণীর সুযোগ-সন্ধানী চুটিয়ে ব্যবসা করছে। আরো বড় হয়ে লক্ষ্য করলাম, এই সুযোগ-সন্ধানীরা মিষ্টি কথা ও মিথ্যা আশ্বাসের জাল বিছিয়ে - আমাদের সমাজ ও রাজনীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে কর্তৃত্ব করছে, স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে।