বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সিনেমা
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (৫ মে ১৯১১ – ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩২) একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী ছিলেন, যিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী ছিলেন। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পড়াশোনা শেষ করে, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন। তিনি দূরশিক্ষার সঙ্গে দর্শনে স্নাতক হন, এবং পরবর্তীতে একজন স্কুল শিক্ষকা হন। তিনি "বাংলার প্রথম নারী শহীদ" হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র “বীরকন্যা প্রীতিলতা” আজ বাংলাদেশের তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা ঢাকার ব্লকবাস্টার সিনেমাস এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে টিকিটের অর্ধেক মূল্যে ছবিটি দেখতে পারবে।
ছবির পরিচালক প্রদীপ ঘোষ। শিক্ষার্থীদের হাফ পাসে সিনেমা দেখার বিষয়ে নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ বলেন, “আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাফ পাস কুপন দিচ্ছি। আমরা আগ্রহী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুপন সরবরাহ করতে প্রস্তুত।”
প্রদীপ ঘোষ আরও যোগ করেছেন, “আমি ব্যবসা করার জন্য এই সিনেমাটি করিনি। তবে আমরা ট্রেড করার চেষ্টা করব। তবে মুভিটি সবার জন্য দেখার বিষয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সিনেমাটি দেখাতে পারবে।”
পরিচালকের কাছে “বীরকন্যা প্রীতিলতা” শুধু একটি সিনেমা নয়; এটি একটি আন্দোলন। তিনি জানান, এই সিনেমাটি করার জন্য তার অনেক টাকা পাওনা ছিল। কবে পরিশোধ করা হবে তা তিনি জানেন না।
এর আগে ছবিটির টিজার ও একটি গান প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অমিত রঞ্জন দে, কামরুজ্জামান তপু, ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন প্রমুখ।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেন। ক্রেগ হত্যা মামলায় আলিপুর জেলে বন্দি ছিলেন আরেক বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস। কারাগারে প্রীতিলতার সাথে ৪০ বার দেখা হয়েছিল।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ অবলম্বনে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন প্রদীপ ঘোষ। সিনেমাটি 2019-2020 অর্থবছরের জন্য সরকারী অনুদান পেয়েছে। (স্মৃতি ও চেতনা)