বাংলাদেশের মধ্যে তালেবানি মোবাইল কোর্ট - কৃত্তিবাস কাশিরাম
বাংলাদেশে হুজুররা তালেবানি মোবাইল কোর্ট বসিয়েছে। তারা রোজা না রাখার জন্য শাস্তি দিচ্ছে। হুজুররা হিন্দু দোকানদারদের শাসাচ্ছে, যাতে তারা রমজান মাসে মুসলমানের কাছে খাবার বিক্রি না করে। হুজুররা হুমকি দিচ্ছে, তাদের আদেশ অমান্য করলে- দোকান বন্ধ করে দেবে।
ইরানের মেয়েরা হিজাব পুড়িয়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে; তবুও তারা বোরকা-হিজাব পরতে চাইছে না। বাংলাদেশের মেয়েরা স্বেচ্ছায় বোরকা-হিজাব পরছে। আফগানিস্তানে পুরুষদের পিটিয়ে দাড়ি রাখতে বাধ্য করা হয়, বাংলাদেশের পুরুষরা নিজের ইচ্ছায় সুন্নতি দাড়ি রাখে।
বাংলাদেশে সামাজিক পর্যায়ে একটি নীরব ইসলামি বিপ্লব ঘটে গেছে। বুদ্ধিজীবীরা এই জ্বলন্ত সত্য উপলব্ধি করতে পারছে না; তারা লেগে আছে হিরো আলমের পিছনে।
বছর পনের আগের কথা। ঢাকা শহরের এক তরুণ ভেজাল পণ্য কারবারিকে দেখলাম, হঠাৎ করে দারুন ধার্মিক হয়ে গেছে। গোঁফ কামিয়ে দাড়ি রেখেছে, সব সময় টুপি মাথায় দেয়, লম্বা আলখাল্লা পরে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে। সেই যুবক আমার কাছে ইসলাম ধর্মের মাহাত্ম্য বর্ণনা করছিল। আমি তাকে বললাম, "তুমি ধার্মিক হয়েছো বেশ ভালো কথা, কিন্তু তুমি ভেজাল পণ্যের কারবার বন্ধ করছো না কেন?"
উত্তরে সে বলল, "আমি ইসলাম-বিরোধী কোনো কাজ তো করছি না! ভেজাল পণ্য বিক্রি করা আমার ব্যবসা। আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছে।"