Translate

কাচুয়ায় সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা পিলার ভেঙে দিয়েছে শহিদুল্লাহ মোল্লা

কাচুয়ায় সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা পিলার ভেঙে দিয়েছে শহিদুল্লাহ মোল্লা

গত ২৯ মার্চ বুধবার রাতে চাঁদপুর-কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামের সনাতন ধর্মের সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীরের পিলার ভেঙ্গে দিয়েছে শহিদুল্লাহ মোল্লা ও নারগিস বেগম। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে গেলে সীমানা প্রাচীরের পিলার ভাঙ্গা অবস্থা দেখতে পায়। পরে সনাতন ধর্মালম্বী লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলব শাস্তি করে বিক্ষোভ মিছিল করে।


শ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করলে একই এলাকার শহিদুল্লাহ মোল্লা ও তার মেয়ে নার্গিস বেগম বাধা দেয় এবং হুমকি প্রদান করে। সরকারি রাস্তা দিয়ে প্রচীর নির্মানের মালামাল পরিবহনে আলী আরশাদ বাধা প্রদান করে।


পরবর্তীতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ইউনুস মিয়া ঘটনার মিমাংসা করে দেন এবং মিস্তিরিরা কাজ শুরু করেন। সদ্য নির্মিত পিলারের রডগুলো রাতের আঁধারে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় শ্মশান কমিটির সহসভাপতি রনজিত পাল বাদি হয়ে সন্দেহজনক আসামী শহিদুল্লাহ মোল্লা ও নারগিস বেগমকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।


অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন দুপুরে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিতারা সার্বজনীন মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি অজয় পাল, হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুলাল সরকার ও স্থানীয় পিজুষ দে সহ একাধিক লোকজন জানান-

বিতারা গ্রামের হিন্দু সনাতন ধর্মের অন্যতম সার্বজনীন মহাশ্মশান এটি।

প্রায় ৫০ বছর পূর্বে প্রয়াত ধর্মদাস পাল ১৪ শতাংশ ভূমি মহাশ্মশানের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। স্থানীয় সার্বজনীন মহাশ্মশানটি সীমানা প্রাচীর নির্মানে মেরামতের কাজ চলছে। শ্মশানের জমির সাথে পার্শ্ববর্তী স্থানীয় একজনের জমি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে যারা শ্মশানের সীমানার পিলার ভেঙ্গেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুছ মুন্সী জানান,

বিতারা সার্বজনীন মহাশ্মশানের জমির পাশে স্থানীয় জনৈক এক ব্যক্তির জমি নিয়ে মতবিরোধ থাকায় বুধবার দু’পক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করা হয়। তবে রাতের আধারে কে বা কাহারা মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছে তা জানি না। তবে যারা এ কাজটি করেছে তা দু:খজনক।

কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন,

বিতারা গ্রামে সনাতন ধর্মের সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা পিলার ভেঙ্গে ফেলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url