Translate

পশ্চিমবঙ্গ বর্তমান সরকার ভারতীয় ঐতিহ্যকে মুছে দিতে চায়

পশ্চিমবঙ্গ বর্তমান সরকার ভারতীয় ঐতিহ্যকে মুছে দিতে চায়

লেখক নারায়ন দেবনাথ: পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগত তারা যারা ইচ্ছে করলে ৪টি পাকিস্তান বানাতে পারে- বহিরাগত তারা যারা সংবিধানের বিরুদ্ধে পথে নেমে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করতে পারে- বহিরাগত তারা যারা ক্ষমতার লোভে বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতি ঐতিহ্য পরম্পরাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে।বহিরাগত তারা যারা বংশগত দেশদ্রোহী বহিরাগত তারা যারা ধর্মসূত্রে হিন্দু বিদ্বেষী খাদ্যাভ্যাসে গোভক্ষক।বহিরাগত তারা যারা শিক্ষাগত যোগ্যতায় আঁতেল।


বাংলার সংস্কৃতি এক সময় ভারতবর্ষের অন্তরতম আত্মার পুনর্জাগরনের সাথে সমার্থক ছিল।কিন্তু বাংলা আজ এই সুমহান ঐতিহ্যের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।বাংলার ঐতিহ্য ক্রমশ হৃদ্ধ হতে হতে শীর্নকায় কংকালসার চেহারায় পর্যবশিত হয়েছে।একজন মুখ্যমন্ত্রী যখন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলে গালি দেন তখন বাংলা আর তার ঐতিহ্যের বড়াই করতে পারেনা।কারন যারা এই ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসাবে অভিষিক্ত তারা মুখ লুকিয়েছে চাটুকারিতায়।যে সংস্কৃতি শুধু ভারতবর্ষে নয় সারা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতি বলে পরিচিত সেই সংস্কৃতির স্রষ্টারা আজ অবহেলিত।শ্রেষ্ঠত্ব এখন একজন পথভ্রষ্ট অর্ধশিক্ষিত ক্ষমতা লোভীর পায়ের তলায় পদপিষ্ট। 

যারা কপালে তিলক কাটে গেরুয়া পড়ে তারা কি বহিরাগত হতে পারে?যাদের পরিচয় ভারতের হাজার বছরের আধ্যাত্মিক ভাবধারার সাথে জড়িত যাদের আবির্ভাব ভারতকে মহান করেছে যাদের শিক্ষায় আজ সারা পৃথিবী বিমোহিত। পাঁচ হাজার বছরের ঐতিহ্য যারা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা আজ হয়ে গেলেন বহিরাগত।শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ অরবিন্দের শিক্ষাকে আড়াল করে রামধনুকে যারা নীলাকাশের পরিবর্তে নীল আসমানে রূপান্তর করতে চায় তারা কি ভারতীয়?নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন বলেছিলেন জয় শ্রীরাম নাকি বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয়।তাহলে কৃত্তিবাসী রামায়ণ স্রষ্টার আদিনিবাস পঃবঙ্গের ফুলিয়া হল কি করে?কৃত্তিবাস তো একজন বাঙালি। তাহলে বহিরাগত কে? ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসের নায়ক নেতাজিকে যারা তুজোর কুকুর আখ্যা দিয়ে যারা ভারতের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করেছে তারা কি বহিরাগত নয়?যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ইসলামের পৃষ্ঠপোষকদের সাথে গলা মিলিয়ে বুর্জোয়া হিসাবে আখ্যা দিয়েছে তারা কি ভারতের পরম্পরাকে ধারন করে? তাহলে বহিরাগত কে? নজরুলের শ্যামা সঙ্গীতে যারা কবিকে কাফের বলে তারা বুঝি ভারতীয়? ব্রিগেডে মাথায় টুপি দিয়ে যারা ভারতকে আবার স্বাধীনতার ডাক দেয় তারা বুঝি ভারতীয়?


বৈষ্ণব কবি বা বাউলদের বলা হয় তারা বহিরাগত সংস্কৃতির ধারক।তাদের গায়ে গেরুয়া পোশাক কপালে তিলক কাটা জয় শ্রীরাম বলে,রামকৃষ্ণ বলে তাই তারা বহিরাগত।অথচ তাদের পদাবলী কীর্তন এবং তাদের নিগুঢ় আধ্যাত্মিক অনুধ্যানের ঐতিহ্য আজও বাংলার সংস্কৃতির জীবন্ত উপাদান।দেবত্বের দিকে আত্মার অনুগমনের তীব্র সাধনার মাঝে যে ত্যাগের মহিমা তা যে ভারতের শ্বাশত ঐতিহ্যেরই অংশ তা আজ বহিরাগতের তকমায় কলুষিত।পঃবঙ্গের স্রষ্টা ডঃশ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা যারা কোন দিন স্মরণ করেনি তারা কি বহিরাগত নয়?যারা কথায় কথায় আজাদীর শ্লোগান দেয় মাওবাদের নামে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখায় ভারতকে টুকরো করে চীনের ন্যায় একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চায় তারা কি দেশপ্রেমিক?ইসরাইল যখন সীমান্ত রক্ষায় জিহাদিদের সমুচিত জবাব দেয় তখন তারা জেহাদিদের পক্ষে গলা ফাটায়।আবার বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের বিরুদ্ধে হত্যা ধর্ষন ধর্মান্তকরন করে দেশত্যাগে বাধ্য করে তখন তারা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।দে গঙ্গা,বসিরহাট, ধূলাগড়,কালিয়াচকে যখন জেহাদিরা দাঙ্গা করে তখন তারা থাকে নিশ্চুপ।তাহলে বহিরাগত কারা।ধর্মতলায় গরুর মাংস খেয়ে যারা ভারতের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে কলুষিত করে তারা কি ভারতীয় হওয়ার যোগ্যতা রাখে?ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে বাম নেতা সেলিম যখন ভোটে দাড়াতে উত্তর দিনাজপুরে স্বজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যায় তখন বুঝতে হবে ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে পঃঙ্গে মুসলিম রাজত্ব কায়েকই তাদের লক্ষ।এরাই বহিরাগত এরাই বহিরাগত।


ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ ছিলেন রাজা রামমোহন রায়,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,স্বামী বিবেকানন্দ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ন্যায় মনীষিরা তাদের অসাধারণ নিষ্ঠা কঠোর অধ্যাবসায় ও দায়বদ্ধতার মধ্য দিয়ে ভারতের ইতিহাসকে সম্বৃদ্ধশালী করে গিয়েছেন।কিন্তু আজকের শিল্পি সাহিত্যিক কবি বুদ্ধিজীবির দল চাটুকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ।পঃবঙ্গের ইতিহাসে এ এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনলিপি।বহিরাগত নিয়ে এমন অস্পৃশ্য কথা বাংলার সাধারণ মানুষ ভালভাবে নেয়নি।জনতা জনার্দন তার জবাব দিতে মুখিয়ে আছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url