Translate

ফিলিস্তিনি মুফতি ও হিটলারের সমর্থন ইহুদি গনহত্যা ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নেতা অ্যাডলফ হিটলার ইউরোপে ইহুদিদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালান। এই সময় জেরুজালেমের গ্রান্ড মুফতি আমিন আল-হুসাইনি হিটলারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই ঘটনা ঘটে ১৯৪১ সালের ২৮ নভেম্বর, জার্মানির বার্লিনে। এই বৈঠক ইতিহাসের একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। রিসার্চ পেপার- https://shorturl.at/eCzbY

আমিন আল-হুসাইনি ছিলেন ফিলিস্তিনের একজন প্রভাবশালী মুসলিম নেতা এবং জেরুজালেমের গ্রান্ড মুফতি। তিনি ফিলিস্তিনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি হিটলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে নাৎসি নীতির প্রতি সমর্থন জানান। তিনি ফিলিস্তিনে ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাৎসিদের সাহায্য চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি মুসলিম সৈন্যদের একটি ইউনিট গঠন করেন, যার লক্ষ্য ছিল নাৎসিদের সঙ্গে মিলে ইহুদিদের নির্মূল করা।

১৯৪১ সালের বৈঠকে আমিন আল-হুসাইনি হিটলারের ইহুদি-বিরোধী নীতির প্রতি সমর্থন জানান। তিনি ফিলিস্তিনে ইহুদি অভিবাসন বন্ধ করতে এবং সেখানকার ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাৎসিদের সহযোগিতা চান। এই বৈঠকের পর তিনি নাৎসি প্রচারণায় অংশ নেন এবং বেতারের মাধ্যমে ইহুদি-বিরোধী বক্তব্য প্রচার করেন। এই ঘটনা ফিলিস্তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের জন্য ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি নেতা ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু আমিন আল-হুসাইনি ফিলিস্তিনে ফিরে আসেন এবং সেখানে তাকে অনেকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করেন। এই ঘটনা ইতিহাসে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি ফিলিস্তিনি সমাজের একটি অংশের জন্য লজ্জার বিষয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url