আবারো গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু শিক্ষিকার ক্যারিয়ার নষ্টের পায়তারা উগ্রবাদীদের
দাউল বারবাক উচ্চবিদ্যালয়, নওগা।
স্কুলের অ্যাসেম্বলি বা সমাবেশে কিছু ছাত্র ছাত্রী স্কুল ড্রেস না পরায় তাদের বারবার সতর্ক করেছেন শিক্ষকরা। কিন্তু তারপরও স্কুল ড্রেস না পরায় অ্যাসেম্বলিতে শিক্ষক বদিউল আলম ছেলেদের মারেন।
একইভাবে শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ৩ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে ১ টা করে বারি দেন। তারা কিন্তু বোরখাও পড়ে ছিলো না।
কিন্তু নিচের এই ভদ্রলোক কিভাবে স্ট্যাটাসটা দিলেন?
গ্রামের উঠতি বয়সের পোলাপানরাই সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে গুজব ছড়াচ্ছে বেশি। অথচ শিক্ষিকা আমারও স্কুলের ম্যাডাম ছিলেন। তিনি কখনই মেজাজী ছিলেন না। ভীষণ ভদ্র এবং মার্জিত। আমাদেরও শাসন করেছেন, আবার বাড়িতে বেড়াতেও এসেছেন। কখনও ধর্মের বিভেদের বিষয় আমাদের মাথাতেই আসে নি।
বার বার বলার পরেও যখন সন্তানেরা কথা শোনে না তখন বাবা-মায়েরাও তো মারেন, শাসন করেন। সেটা নিশ্চয় অপরাধ নয়। তাছাড়া অ্যাসেম্বলিতে স্কুল ড্রেস থাকার নিয়ম তো আছেই, সেটাও শিক্ষার মধ্যেই পরে। সরকার গ্রাম পর্যায়ে হাইস্কুলে প্রতিটা মেয়েকে উপবৃত্তি দেয়। সেটা দিয়েও তারা বানিয়ে নিতে পারে, যদি না থেকে থাকে। সুতরাং স্কুল ড্রেস না পরাও বেয়াদবি।
সুতরাং উদ্দেশ্যমুলকভাবে সংঘবদ্ধ কেউ এগুলো করছে। ছোট্ট ঘটনায়, মুসলমান শিক্ষক---ছাত্রদের একই কারণে মারলেন ধর্মের গুজব হলো না, হিন্দু শিক্ষিক্ষা মারলেন বলে গুজব ছড়িয়ে তাকে হেনস্তা এবং নানা রকম হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। থানা পুলিশ করে হুলস্থুল, আমি বলি কেন?
অথচ এটা প্রত্যন্ত এক গ্রাম, যুগে যুগে সেখানে হিন্দু -মুসলিম একসাথে বসবাস করে আসছে। কখনো কোন ধর্মীয় বিভেদ তৈরী হয় নি। আমাদের গ্রামে ঈদে যেমন আনন্দ হতো তেমনি লক্ষ্মী পূজোয় সবার বাড়ি বাড়ি ভালো মন্দ রান্না হতো, নতুন জামাই খাওয়ানো হতো, আত্মীয়দের দাওয়াতে আনা হতো। কেমন একটা উৎসব ব্যাপার ছিলো। সেখানে যারা গুজব ছড়িয়ে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, না হলে এসব ঘটনা বেড়েই যাবে ।
#SaveBangladeshiHindus
যেভাবে ছড়াচ্ছে হিংসাঃ https://fb.watch/ceSA6nwCNE/
সংগ্রহীত: সাবিনা পুঁথি