পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মের আবরণে নোংরামি দেখে আমি হতাশ,ব্যথিত,ক্ষুব্ধ - Devdas Bhattacharya
![]() |
Devdas Bhattacharya |
তামসিক পূজা বর্জন করে সার্ত্ত্বিক পূজার আয়োজন করলে মঙ্গল বয়ে আনবে। এটা শুধুমাত্র একজন দেবদাস স্যারের আবেদন নয়। আমি মনে করি এটা ধর্মপ্রাণ সকল সনাতনী সমাজের আবেদন হওয়া উচিৎ। সময় থাকতে সচেতন হউন, ধর্মের নামে অধর্ম বন্ধ করুন। সারা বাংলাদেশের সকল পুরোহিত সমাজের প্রতি অনুরোধ করবো,যেখানেই অধর্ম দেখবেন সেখানেই পুজা বর্জন করুন। জাতির এই ক্লান্তি লগ্নে সর্বাগ্রে পুরোহিত সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং এতে করেই সনাতন ধর্মের বৈদিক শাস্ত্রীয় পবিত্রতা রক্ষা পাবে বলে মনে করি।
পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতি ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য স্যারের আকুল আহ্বান :
‘পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মের আবরণে নোংরামি দেখে আমি হতাশ, ব্যথিত, ক্ষুব্ধ’ আর প্রায় কয়েকদিন পর বাঙালী হিন্দুর সর্ববৃহৎ সার্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু হয়েছে।
তবে পূজাকে উপলক্ষ্য করে অনেক মণ্ডপেই যে কুরুচিপূর্ণ গান-বাজনা ও উচ্ছৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় সেসব নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দেবদাস ভট্টাচার্য। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামি দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। সে সঙ্গে বাংলাদেশের সকল পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি কয়েকটি সুপারিশ ঘোষণা করেছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য স্যার নিচের নির্দেশনাগুলো প্রদান করেছেন-
১। আরতির নামে ডিজে, কুরুচিপূর্ণ গান সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
২। প্রতি সন্ধ্যায় মণ্ডপে মণ্ডপে ধর্মীয় আলোচনা এবং ধর্মীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন এক বা দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে আলোচনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা হলে দর্শক সমাগম বজায় থাকবে এবং সকলে উপভোগ করবেন।
৩। ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিশু, কিশোর, তরুণদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করা যেতে পারে।
৪। সমবেত চণ্ডীপাঠ বা সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা যেতে পারে।
৫। প্রতিদিন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে এবং সঠিক নিয়মে অঞ্জলির পরিকল্পনা এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। আলোকসজ্জা বা অন্যান্য খরচ কমিয়ে বাজেটের একটি অংশ দিয়ে পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অসহায় গরীব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।
৭। প্রতিমা নির্মাণ সহ পূজার সমস্ত প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিধান মেনে সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৮। পুজা শেষে মায়ের বিসর্জনে রং খেলাসহ উদ্মাদ নৃত্য বন্ধ করে, ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য পরিবেশ বজায় রাখা।
“পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মীয় বোধের যে অবক্ষয় চোখে পড়ে, তাতে আমি হতাশ, ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ। ধর্মের আবরণে এসব নোংরামির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে, পথভ্রষ্ট হচ্ছে। ধর্মকে গ্লানিমুক্ত করে গৌরবময় করতে সবাইকে এক লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”
দেবদাস ভট্টাচার্য স্যার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ রেঞ্জ।
প্রতিবেদনেঃ শুভ দাশ গুপ্ত
প্রতিবেদনটি সঙ্গগৃহীত
আরও পড়ুনঃ পেশোয়া বাজিরাও ভারতবর্ষের এক মহান যোদ্ধা! Bajirao Family