পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজে হিন্দু ছাত্রদের খাসির কাচির বদলে গরুর বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছে
উল্লেখ্য, খাবারের আগে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসা করা হলে কলেজের কর্মকর্তারা হিন্দু শিক্ষার্থীদের খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করার আশ্বাস দেন!
এদিকে খাওয়া শুরুর কিছুক্ষণ পর অনেকের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিলে হিন্দু ছাত্ররা বাবুর্চির কাছে গিয়ে জানতে পারে, সবার জন্য গরুর কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছে। তাছাড়া সেখানে কোনো খাসি বা মুরগির অর্ডার দেওয়া হয়নি এবং জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিশ্চিত করেন যে, কলেজের চেয়ারম্যান রকিবুল হোসেন রুমি স্যার গত ২৯ অক্টোবর এ আদেশ দেন এবং ওই আদেশ মোতাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করেন।
গরুর বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছে জেনে হিন্দু শিক্ষার্থীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে এবং কান্নায় ভেঙে পড়ে। এর আগেও দেশে কিছু জায়গায় হিন্দুদের গরুর মাংস খাওয়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
সব শিক্ষার্থীর দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাদের গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে। সবাই এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান স্যার তার দায়িত্ব স্বীকার করে স্বেচ্ছায় প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু পরে ছাত্ররা জানতে পারে চেয়ারম্যান তার পদে বহাল রয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন শাহরিয়ার নবী স্যার গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন এবং সভায় ডিন স্যার সিদ্ধান্ত নেন যে চেয়ারম্যান রাকিবুল হোসেন রুমি তার পদে বহাল থাকবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি, ডিন স্যার কোনো তদন্ত না করেই সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে।
হিন্দু ছাত্ররা গরুর মাংস খায় না জেনেও জাতি নির্বিশেষে কীভাবে সে গরুর মাংস রান্না করে। শিক্ষার্থীদের দাবি, কেন গরুর মাংসের পরিবর্তে সবাইকে গরুর মাংস খাওয়ানো হয়। তারা মনে করেন এই কাজ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।