Translate

পশ্চিম বঙ্গ ক্রমেই হারাচ্ছে ভারতীয় পরম্পরা | West Bengal is gradually losing its Indian heritage

পশ্চিম বঙ্গ ক্রমেই হারাচ্ছে ভারতীয় পরম্পরা | West Bengal is gradually losing its Indian heritage

তথ্যটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীতঃ Narayan Debnath

মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন,

আসাম আমার পশ্চিম বঙ্গ আমার ত্রিপুরাও আমার।এগুলো ভারতের কবল থেকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মানচিত্রে পূর্নতা পাবেনা“।এ কথাগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কিন্তু ভারতের হিন্দু বাঙালিরা ভুলে গিয়েছে। ভুলেনি ভারত-বাংলাদেশের জাগ্রত মুসলিম তৌহিদী জনতারা।

আসাম আমার পঃবঙ্গ আমার ত্রিপুরাও আমার মওলানা ভাসানী
আসাম আমার পঃবঙ্গ আমার ত্রিপুরাও আমার মওলানা ভাসানী

সেকথা প্রতি পদক্ষেপে কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন পশ্চিম বঙ্গকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। ত্রিপুরা আসামে যখন কংগ্রেস এবং বামেরা ক্ষমতায় ছিল তখন সেই সব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অনুপ্রবেশ ছিল একটি নির্দিষ্ট লক্ষকে সামনে রেখে। এখন আসাম ও ত্রিপুরা সামলে নিয়েছে কারণ সেখানে এখন রাষ্ট্রবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই সমস্ত চাপ গিয়ে পড়েছে পশ্চিম বঙ্গের উপর। কারন সেখানে অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে তোষামোদি সরকার এখনো প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

 

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের সাফল্য পশ্চিম বঙ্গের ভাগ্যে জুটেনি। কারন সে হারে পশ্চিম বঙ্গের মুসলিমরা দেশত্যাগ করেনি। এর পিছনে যে একটি সুনির্দিষ্ট নীল নক্সা ছিল তা পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা ধরতেই পারেনি। ফলে দেশভাগের পর পশ্চিম বঙ্গে এলাকা ভিত্তিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সাফল্য এসেছে। এই সাফল্যের পিছনে ছিল অরক্ষিত সীমান্ত,অনুপ্রবেশ, ধর্মের ভিত্তিতে একাধিপত্য এবং একটি রাজনৈতিক সমিকরন। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল মূলত তাদের মদতেই পশ্চিম বঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। পশ্চিম বঙ্গে এখন মুসলিম জনসংখ্যা ৩০% যারমধ্যে কোন বিভক্তি নেই আর বাকি ৭০% দ্বিধা বিভক্ত তাই পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতার সিড়ি এখন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে। তাইতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, “আমি মুসলমানদের তোষণ করি।ইফতারে একশত বার যাব। যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া উচিত“।


Rani Vavashankari History


এই অবস্থাটা একদিনে গড়ে উঠেনি। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন এবং কিছু দেশপ্রেমিক ব্যুরোক্র্যাট সর্বপ্রথম অনুপ্রবেশ এবং অরক্ষিত সীমান্ত নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতার মোহে হিন্দুরা এতটাই মত্ত ছিলেন যে দেশের সুরক্ষা নিজেদের অস্তিত্বের কথা তারা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলেন যার প্রায়শ্চিত্ত আজ পশ্চিম বঙ্গের সাধারণ জনগনকে ভোগ করতে হচ্ছে।

 

টিবি রাজেশ্বর নামে একজন গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ যিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবির ডিরেক্টর ছিলেন। অবসরের পর তিনি পশ্চিম বঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সনে হিন্দুস্থান টাইমস পত্রিকায় এক নিবন্ধে তিনি বলেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের চিন্থিত করে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিতে না পারলে ভারত একদিন একটি তৃতীয় ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। তিনি আরএসএসের লোক ছিলেন না। তিনি ছিলেন কংগ্রেস ঘরানার একজন স্নেহধন্য। তাকে তোষামোদ পরাজিত করতে পারেনি। তিনি অনুপ্রবেশকারীদের চিন্থিত করে ভিন্ন একটি পরিচয় পত্র এবং যারা প্রকৃত ভারতীয় তাদের আলাদা একটি পরিচয় পত্র দেয়ার কথা বলেছিলেন যা অসমে দেয়া হয়েছিল। তখনই উত্তর ২৪পরগনা জেলার মোট জনসংখ্যার ৫৬%ছিল মুসলিম,নদীয়ায় ছিল ৪৮%,মালদায় ছিল ৫৪%মুর্শিদাবাদে ছিল ৫২%,ইসলামপুর উত্তর দিনাজপুরে ছিল ৬০% মুসলিম

Islam in West Bengal
Islam in West Bengal

এই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই সময় মুসলিমরা বিধান সভার ৫২টি সিট নিয়ন্ত্রণ করত এবং ১০০টি সিটে প্রভাব খাটাতে পারত। সে তুলনায় এখন পরিস্থিতি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। ১৯৯০সনে কমিউনিস্ট পার্টির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত সংসদে ১কোটি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রয়েছে বলে বলেছিলেন ১৯৯২ সনের ১১অক্টোবর গনশক্তি কাগজে জ্যোতিবসু অনুপ্রবেশ নিয়ে এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন ১৯৭১ সাল থেকে মুসলমানরাও ভারতে আসতে শুরু করেছে। ১৯৭৭থেকে ১৯৯২পর্যন্ত বিএসএফ ২,৩৫,৫২৯জন বাংলাদেশীকে সনাক্ত করে ফিরিয়ে দিয়েছে। এরমধ্যে ৬৮,৪৭২জন ছিল হিন্দু আর ১কোটি ৬৪হাজার ১৩২জন ছিল মুসলমান।একই সময়ে মোবাই টাস্কফোর্স ২১৬,৯৮৫জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করেছে। এরমধ্যে ৫৬,৩৪২ জন হিন্দু আর ১,৬৯,৭৯৫ জন ছিল মুসলমান।

২০০৪ সালে কংগ্রেসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ জয়সোয়াল সংসদে ১কোটি ২৫লাখ অনুপ্রবেশকারীর কথা বলেছিলেন। ২০০৫সনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে সিপিএম ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্পিকারের টেবিলে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন। আজীবনের কমিউনিস্ট ঐতিহাসিক অমলেন্দু দে ১৯৯৩সনে অনুপ্রবেশ নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন,পশ্চিম বঙ্গের সীমান্ত জেলাগুলোতে যেভাবে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে তাতে অদূরভবিষ্যতে ভারতের সেকুলার মডেলটি ভেঙ্গে যেতে পারে। এসব তথ্য মনগড়া নয় সংসদে রেকর্ড রয়েছে।কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল বাম-কংগ্রেস-তৃনমূল কেউ অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে না। কারন এই অনুপ্রবেশকারীরাই তাদের ক্ষমতার উৎস। আর এর সুযোগ নিচ্ছে তথাকথিত সংখ্যালঘুরা। কারন তারা জানে তাদের ক্ষমতা কতটুকু। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো সরকার এপর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অনুপ্রবেশ পশ্চিম বঙ্গের ভূপ্রকৃতি বদলে দিয়েছে। ধীরে ধীরে তথাকথিত সংখ্যালঘুরা তাদের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

হিন্দু যদি তাদের অস্তিত্ব ধর্মীয় ভাবাবেগ অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় তাহলে এখুনি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, নইলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। হয় প্রত্যাঘাত নয়তো নির্ঘাত নির্বাসন।


West Bengal is gradually losing its Indian heritage

Maulana Bhasani said,

“Assam is my West Bengal and my Tripura is also mine. Bangladesh will not be free and complete on the map until they are taken back from India”. These words are very significant but forgotten by the Hindu Bengalis of India. The awakened Muslim monotheistic people of India-Bangladesh have not forgotten.

 

A few militant organizations are telling West Bengal that at every step. When the Congress and the Left were in power in Tripura, Assam, the infiltration of separatists was with a specific goal in mind. Now Assam and Tripura have taken over because the nationalist government has been established there. So all the pressure is on West Bengal. Because the Toshamodi government is still established with the support of the infiltrators.

The success of partition on the basis of binationalism did not end up in West Bengal’s fortunes. Because the Muslims of West Bengal did not leave the country at that rate. The Hindus of West Bengal could not grasp the definite blueprint behind it. As a result, there has been success in achieving an area-based Muslim majority in West Bengal after partition. Behind this success were unguarded borders, infiltration, monopolies based on religion and a political equation. The Muslim majority in West Bengal has grown at an alarming rate largely thanks to those who were in power in the past. In West Bengal now Muslim population is 30% in which there is no division and the remaining 70% is bifurcated so the ladder of power in West Bengal is now in the hands of a particular community. So Chief Minister Mamata Banerjee said in a press conference, “I praise Muslims. I will go to Iftar a hundred times. The cow that gives milk should be kicked”.

 

This situation did not develop in a day. In the past, those in power and some patriotic bureaucrats were the first to speak out about infiltration and unsecured borders. But the Hindus were so intoxicated with the lust of power that they almost forgot about the existence of the country’s security for which the common people of West Bengal have to suffer today.

An intelligence expert named TB Rajeshwar was the director of the Central Intelligence Agency IB. After retirement he was appointed as the Governor of West Bengal. In an article in the Hindustan Times in 1996, he said that India could one day become a third Islamic state if names could not be removed from the voter list by appalling infiltrators in West Bengal. He was not an RSS man. He was a darling of the Congress clan. He could not be defeated by flattery. He asked for a separate identity card for the intruders and a separate identity card for those who were genuine Indians, which was issued in Assam. At that time 56% of the total population of North 24 Parganas district was Muslim, 48% in Nadiya, 54% in Malda, 52% in Murshidabad, 60% in Islampur North Dinajpur.

Rani Vavashankari History

Based on this population at that time Muslims controlled 52 seats in the Legislative Assembly and could influence 100 seats. Compared to that, it is easy to imagine where the situation is now. In the year 1990, the Home Minister of the Communist Party, Indrajit Gupta, said that there are 1 crore Bangladeshi infiltrators in the Parliament. On October 11, 1992, Jyotibsu wrote in an article about the infiltration of the Gana Shakti paper that since 1971, Muslims have also started coming to India. From 1977 to 1992, BSF identified and returned 2,35,529 Bangladeshis. Among them, 68,472 were Hindus and 1 crore 64 thousand 132 were Muslims. At the same time Mobai Task Force expelled 216,985 Bangladeshi infiltrators. Out of this 56,342 were Hindus and 1,69,795 were Muslims.

 

In 2004, Congress Home Minister Prakash Jaiswal spoke in Parliament about 1 crore 25 lakh infiltrators. In 2005, Mamata Banerjee threw papers on the Speaker’s table, alleging that the CPM was polling with infiltrators. Lifetime communist historian Amlendu Dey wrote a book on the infiltration in 1993. There, he said, the way Bangladeshis are infiltrating the border districts of West Bengal may break the secular model of India in the near future. These facts are not fabricated, there are records in the Parliament. But no political party, Left-Congress-Trinamool, admits the intrusion. Because these intruders are the source of their power. And the so-called minorities are taking advantage of this. Because they know how much power they have. So no government could take any action against them so far. Intrusions have changed the topography of West Bengal. Gradually the so-called minorities are moving towards their main objective of establishing religious monopoly.

If the Hindus want to keep their existence religious sentiments intact then resistance must be made now, otherwise it will be too late. Either return or outright exile.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url