মানবতার সেবায় অসাধারণ উদাহরণ সনাতন সংস্কৃতির দেশ ভারত | India is a country of Sonaton culture and a great example in the service of humanity
যাদের গ্রন্থে লেখা "অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব বা আন্তরিক সম্পর্ক রাখা হারাম"।তাদের কাছে প্রশ্ন তাহলে তুরস্কে ভূমিকম্পে যে সমস্ত অমুসলিম দেশ মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে তাতে কি ইসলামের অবমাননা হয়নি?
তুরস্কে ভূমিকম্পের পর ভারত প্রথম অমুসলিম দেশ যারা উদ্ধারকারী দল ঔষধপত্র,ডাক্তার নার্স ত্রান সামগ্রী নিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক C-17গ্লোব মাস্টার পরিবহন বিমান নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে।
কোরানে খুব স্পষ্টভাবে অমুসলিমদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। একজন অমুসলিম যতই ভালো মানুষ হয়ে থাকুক না কেন আপনাকে যতই ভালবাসুক না কেন আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন আপনি তাকে বন্ধু মনে করতে পারবেন না। তাকে আপনার শত্রু হিসাবেই দেখতে হবে। কথিত শান্তির ধর্ম থেকে এ শিক্ষাই পাওয়া যায়।
![]() |
সূরা আল-ইমরান: আয়াত ২৮ |
তুরস্কে ভূমিকম্পের পর ভারত প্রথম অমুসলিম দেশ যারা উদ্ধারকারী দল ঔষধপত্র,ডাক্তার নার্স ত্রান সামগ্রী নিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক C-17গ্লোব মাস্টার পরিবহন বিমান নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে।
এর নাম সনাতন সংস্কৃতির ভারত। ভারত মনে করে সকলের প্রতি সমতা মমতা কারো প্রতি বিদ্বেষ নয় সমস্ত কাজে কুশলতা আর দু:খরূপী সংসার থেকে বিয়োগের নামই ধর্ম। যার জন্য সনাতন সংস্কৃতি দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ হাজার বছর ধরে পৃথিবী ব্যাপী সুনামের সাথে টিকে রয়েছে।
তুরস্ক ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র নয়। বহুক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা এবং মতবিরোধ রয়েছে। ভারত কিন্তু কোন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করেনি। তুরস্ক কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানের পক্ষে গলা ফাটিয়েছে। আর সেই পাকিস্তান ভারতের উদ্ধারকারী বিমানকে পাকিস্তানের আকাশ সীমা ব্যবহার করতে দেয়নি। অথচ তুরস্ক পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্র। এর নাম পাকিস্তান। বিগত দিনে এমন বহু ঘটনায় তুরস্ক ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ভারত অসহিষ্ণু দেশ সেখানে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর অত্যাচার হয় ইসলাম সেদেশে বিপন্ন ইত্যাদি ইস্যুতে যখনই তুরস্ক সুযোগ পেয়েছে তখনই ভারতের বিরোধিতা করেছে। এখানেই ইসলামের সৌভ্রাতৃত্ব ফুটে উঠেছে। আর যখন তুরস্ক বিপদে পড়েছে তখন ভারত মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ভারত মনে করে বিপন্ন মানুষের শত্রুমিত্র পরিচয় হয়না। তাকে বিপদ মুক্ত করাই প্রথম কাজ। ভারত সেই আদিকাল থেকেই মূল্যবোধে আস্থা রেখে এসেছে। আজও ভারত সে পথ থেকে সরে আসেনি।
অবশ্য সাময়িকের জন্য হলেও তুরস্কের সম্বিত ফিরে এসেছিল। তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে সেদেশে আসতে নিষেধ করে বলেছে তারা এখন অতিথি আপ্যায়নের অবস্থায় নেই।
ভারতীয় উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যে তুরস্কের কাছে দেবতুল্য হয়ে উঠেছে। NDRF টিম ৭২ঘন্টার ব্যবধানে তৈরি করে ফেলেছে ফিল্ড হাসপাতাল। উদ্ধারকারী দলের সাথে ডগ স্কোয়াড ধ্বংস স্তুপের মধ্যে আটকে পড়া মানুষদের চিহ্নিতকরনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এটা শুধু ভারতীয়রাই পারে কারন ভারতীয়দের পরম্পরার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মানব সেবার এক অফুরন্ত ভান্ডার।
ভারত আজ সারা পৃথিবীর কাছ থেকে শ্রদ্ধা সমিহ সম্ভ্রম সব কিছু আদায় করে নিয়েছে। ভারতের উচ্চতা বেড়েছে অনেকগুন। কুটনৈতিক ভাবে দিল্লি এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।তবে এই উপকার তুরস্ক কদিন মনে রাখে সেটাই দেখার।
লেখকঃ Narayan Debnath