পশ্চিম বঙ্গে হিন্দুরা বর্তমানে সংখ্যালঘুর পথে
নারায়ন দেবনাথঃ ঘটনাটি পাকিস্তান বা বাংলাদেশের নয় খোদ মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের।সেখানে গতকাল রাতে দুই থেকে আড়াইশ জনের জিহাদী বাহিনীর একটি দল আচমকা শতাব্দী প্রাচীন শীতলা মায়ের মন্ডব ভাঙচুর করে নির্বিঘ্নে কেটে পড়েছে।পূজা উপলক্ষে মন্ডবের সামনে একটি জাগরন মঞ্চ করা হয়েছিল সেটিও ভেঙে দেয়া হয়েছে।
মিনি পাকিস্তান খ্যাত কলকাতায় এটি নুতন কোন ঘটনা নয়।মাত্র ৬মাস আগে মমিনপুরে একদল শান্তির দূত যেভাবে একবালপুর থানা দখল করে একটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার ঘরবাড়ি দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে লুটপাট করেছিল তাতে কলকাতা ভারতের একটা শহর তা মনে হয়নি।আবার প্রায় একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
কলেজ স্ট্রিট এলাকা সব সময় জমজমাট থাকে চতুর্দিকে সিসিটিভি দিয়ে মোড়া।পুলিশ বলছে যেহেতু নির্দিষ্ট কারো নামে কোন অভিযোগ নেই তাই পুলিশ নিস্ক্রিয়।অথচ পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকা থেকে যে শান্তিবাহিনীর ছেলেরা এসেছিল তা এলাকার সবাই জানে শুধু জানেনা কলকাতা পুলিশ।
কলকাতায় শতাব্দী প্রাচীন শীতলা মন্দির ভাঙচুরের ভিডিও ফুটেজ
এই ঘটনার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন এবং পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করে বলেছেন অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।যেকোনো নিস্ক্রিয়তাকে অনুমোদন হিসাবে ধরা হবে।এছাড়া স্থানীয়ভাবে হিন্দুত্ববাদী কোন সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে এগিয়ে আসেনি।বিশেষ করে বিজেপি এই ঘটনাকে ভোটের অংক হিসেবে ধরে এই মুহুর্তে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণে অনিহা দেখিয়েছেন।সামনে উত্তর কলকাতায় একটি উপ-নির্বাচন।তাই নির্বাচনের আগে মন্ডব ভাঙচুরের ঘটনায় নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে চায় না।
সুতরাং প:বঙ্গ নিজের ইচ্ছেতেই বশ্যতা স্বীকার করতে চায়। ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর,মালদা মুর্শিদাবাদ,দুই ২৪পরগনা হিন্দু সংখ্যালঘু অঞ্চলে পরিনত হয়েছে।গত বিধানসভা নির্বাচনের পর হিংসাত্মক ঘটনায় প:বঙ্গের বহুলোক আসামে পালিয়ে গিয়েছিল।আবার কাপুরষ হিন্দুরা উদ্বাস্তু হয়ে আসাম বা উড়িষ্যা যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।