Translate

হিন্দুদেরও রোজা রাখতে হবে পাকিস্তানে - ঘোষনা মুসলিম ধর্মগুরুর

হিন্দুদেরও রোজা রাখতে হবে পাকিস্তানে

পাকিস্তানে আবারো অন্যায় বক্তব্য দিলেন মুফতি তারিখ মাসুদ (Mufti Tariq Masood)। ইন্টারনেটের জগতে পাকিস্তানের বেশ পরিচিত হুজুর এই ব্যক্তি। মাঝেমধ্যেই সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন মূলক মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে তিনি। তাঁর দাবি পাখতুনখোয়া এলাকায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ও রোজার সময় মুসলমানদের মত রোজা রাখতে হবে। তাঁর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল শুরু হয় গোটা পাকিস্তানে (Pakistan)।


পাকিস্তান আনটোল্ড নামে একটি টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে তারিখ মাসুদের ভিডিওটি শেয়ার করা হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় তিনি বলছেন, ‘যদি তুমি খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার হিন্দু হও, তাহলে তোমার বাবাকে রোজা রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই হিন্দু। সে পাখতুনখোয়ায় থাকে। তারা সবাই উপবাস করে।’ পাঠান হিন্দু হোক বা মুসলিম, তাদের আলাদা করা উচিত নয়৷ সবাইকেই উপবাস করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।


পাকিস্তানের ওই মুফতি কেন এই কথা বলেছেন তা ব্যাখ্যাও করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই রমজানের সময় বাইরে বেরোলে আপনি কোনও হোটেল পাবেন না। একটা চায়ের দোকানও থাকবে না।’ শুধু হিন্দুরা নয়, খ্রিস্টান, এমনকি শিখদেরও এই উপবাস রাখা উচিত বলে মনে করেন মুফতি তারিখ মাসুদ।


পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর এমন ফতোয়া নতুন কিছু নয়। সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। জোর করে তাদের ধর্মান্তর করা হয়। হিন্দু বাড়ির মেয়েদের অপহরণ করা হয়। তাদের ধর্ম পরিবর্তন করে জোর করে বিয়ে করা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গুড্ডি ভিল নামে এক ২০ বছর বয়সী তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তর করা হয়েছে।


কয়েক আগে, হোলি উদযাপনের সময় অন্তত ১৫ জন হিন্দু পড়ুয়াকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। একটি কট্টরবাদী ইসলামী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা এই কাণ্ড ঘটায় বলে জানা গিয়েছে। হিন্দু পড়ুয়াদের হোলি উদযাপনে বাধা দেয় এই কট্টরপন্থী ছাত্র সংগঠন। ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রঙের উৎসব হোলি ঘিরে এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় ফের সামনে আসে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের করুণ পরিস্থিতি। BanglaHunt.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url