Does India Support Israel: ইসরাইল ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু
Does India Support Israel অনেকেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন, আপনাদের সত্য উতিহাস জানাবো এই লেখাতে।
লেখাটি লিখেছেন: নারায়ন দেবনাথ।
Does India Support Israel
ভারত ইতিহাস থেকে বিচ্যুত হতে চায়না বলেই ইসরাইলকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে। সপ্তদশ শতকে যেভাবে মুঘলরা ভারতকে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল সেই ইতিহাসের পথ ধরেই ইসরাইল ভারতের বন্ধু হয়েছে।
প্রয়োজনে যে পাশে থাকে সেই-তো আসল বন্ধু।তাই ভারত আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ইসরাইলের পাশে এসে দাড়িয়েছে।
ভারত সনাতন সংস্কৃতির দেশ সেই সত্যকে অস্বীকার করে যারা ভারতকে একটি বিশেষ ধর্মের আশ্রিত করে রাখতে চেয়েছিল তাদের সাথে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর পথচলায় পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেই জন্যই কংগ্রেস নেহেরুর দেখানো পথে ফিলিস্তিনের নামে হামাসকে সমর্থন করেছে।
ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলেই তাদের পাল্টা আক্রমণকে ভারত সমর্থন করে হামাসের অভিযানকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করে নরেন্দ্র মোদী ইসরাইলের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
ইসরাইলকে নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্য ছিল,আরবদের উপর ইহুদিদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায় ও অমানবিক। নেহেরু বলেছিলেন,ফিলিস্তিন মূলত একটি আরব দেশ।ইহুদি রাষ্ট্রের অধিকার ফিলিস্তিনের জমির উপর হতে পারেনা। পরবর্তী ইতিহাস আরও ভয়াবহ।
প্যালেস্টাইনের নেতা ইয়াসির আরাফাত ছিল একজন সন্ত্রাসীবাদী।তার সময়েই সন্ত্রাসের নুতন আবিষ্কার ছিলো বিমান হাইজ্যাক। গান্ধীর ভারত বরাবরই ইসলামের প্রতি দুর্বল ছিল সম্ভবত জিনগত কারনে। পৃথিবীর ১০৬টি দেশ যখন প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তখন ৪টি মুসলিম দেশ ইরাক আলজেরিয়া ইয়েমেন কুয়েত এবং একমাত্র অমুসলিম দেশ ভারত প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
ভারতের এই স্বীকৃতির পিছনে ছিল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা যা পরবর্তীকালে ইন্দিরা গান্ধী ও রাজিব গান্ধীর শাসনামলে ফুটে উঠেছিল। ভারত যাতে আর সনাতন সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে না পারে তারজন্য ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সুযোগে ভারতকে সাংবিধানিক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেছিল।
এছাড়া ইসলামি উম্মাহ-র সাথে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখতে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৮ সালে ইয়াসির আরাফাতকে ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক নেহেরু পুরস্কারে ভূষিত করেছিলেন। সেই পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল ১কোটি রুপি। আজ থেকে ৩৫ বছর পূর্বে ১কোটি টাকার অর্থমূল্য কত ছিল তা সহজেই অনুমেয়।শুধু তাই নয় জিনগত সম্পর্কের টান এতটাই গভীর ছিল যে রাজিব গান্ধী ইয়াসির আরাফাতের মতো একজন সন্ত্রাসবাদী নেতাকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক জাতীয় শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছিলেন ২০০গ্রামের একটি স্বর্নের মেডেল দিয়ে এবং বিশেষ উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন একটি বোয়িং বিমান।
একটি কথা বাজারে প্রচলিত রয়েছে সৌদি আরব একবার ইন্দিরা গান্ধীকে হজ করার অনুমতি দিয়েছিল। মক্কা-মদিনায় কোন অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।ফলে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি আরবের এই প্রীতির পিছনের ইতিহাস বড়ই পিচ্ছিল।সে প্রসঙ্গে যেতে চাইনা।
ধর্মীয়ভাবে অকৃতজ্ঞতার ইতিহাসে ইসলামের কোন জুড়ি নেই। ইয়াসির আরাফাতকে ভারত এতভাবে সম্বর্ধিত করেও খুশি করতে পারেনি। কারণ গ্রন্থের বিধানকে অবজ্ঞা করার সাহস ইয়াসির আরাফাতেরও ছিলনা।
তাই প্রতিদানে ওয়াসি সন্মেলনে ইয়াসির আরাফাত বলেছিল,কাশ্মীর পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুসলিমরা কাশ্মীর ও প্যালেস্টাইনে নির্যাতিত হচ্ছে।পৃথিবীর সমস্ত মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাশ্মীরের পাশে দাড়াতে হবে।এটাই ইসলাম। নুনতম কৃতজ্ঞতাবোধ থাকলে সে আর মুমিন হতে পারেনা। সেজন্য ইয়াসির আরাফাতও কৃতজ্ঞ হতে পারেনি।
মুহাম্মদ ঘোরী থেকে শুরু করে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকাল পর্যন্ত হিন্দুর গ্লানিময় ইতিহাসের সাথে ইসরাইলীদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ইতিহাস সমার্থক। এতদিন সেই ইতিহাস ভারতীয়দের জানতে দেয়া হয়নি। কিন্তু ইতিহাস চাপা থাকেনা।কালের অমুক নির্দেশে সে ইতিহাস একদিন না একদিন বেরিয়ে আসবে।
ইসরাইলের প্রতি ভারতের সমর্থনে সারা পৃথিবী স্তম্ভিত। বিশেষ করে যারা ভারতকে তোষামোদি রাষ্ট্র হিসাবে দেখে অভ্যস্ত তাদের কাছে ভারতের এই সিদ্ধান্ত নুতন মেরুকরণের আভাস পাচ্ছেন। এটাই নুতন ভারত।