বাংলাদেশের মডেল মসজিদ প্রকল্প | Bangladesh Model Mosque Project
জনসংখ্যা অনুপাতে বাজেটে বরাদ্দের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের বৈষম্য নিরসনে পর্যাপ্ত থোক বরাদ্দ ও প্রতি জেলায় ১টি করে মডেল মন্দির নির্মাণের দাবিও জানান তারা। (তথ্যসূত্রঃ ৩ আগস্ট ২০২২). ২০১৭ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনে ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে থোক বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২শ’ কোটি টাকা বরাদ্দের আওতায় আংশিক কিছু প্রকল্প কার্যক্রম সারাদেশে বর্তমানে চলমান রয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অর্থ বছরে বাজেটে নতুন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে শুধু মাত্র ৬.৬৭% বরাদ্দ ছিল ২০১৭ সালে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, যশোরের আট উপজেলায় ৩৩টি মন্দিরের প্রত্যেকটিতে ১০ লাখ টাকা সংস্কার ও উন্নয়নের অনুদান দিয়েছে (তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর ৩ আগস্ট ২০২২)। সারাদেশের ১৮১২টি মন্দিরের সংস্কার করতে ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) (তথ্যসূত্রঃ ইত্তেফাক ৩ আগস্ট ২০২২)। মন্দির প্রতি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এই বাইরে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা প্রকল্প নিয়ে আর বেশী কিছু পেলাম না।
তাহলে দেখুন, যেখানে সরকার ব্যয় করছে প্রায় ২ কোটি টাকা করে নতুন মডেল মসজিদ তৈরি করতে, সেখানে অন্য ধর্মাবলম্বীদের নতুন ধর্মপ্রতিষ্ঠান তৈরি করার কোন প্রকল্পই সরকারের নেই, নাম মাত্র ১০-১২ লক্ষ টাকা দিয়ে পুরনো কিছু মন্দিরের রঙ-প্লাস্টার করার প্রকল্প এই গুলো। এর পরেও আপনারা গলা ফাটিয়ে বলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ (!)।
আরও দেখুন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের লিস্টঃ
এইবারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বাজেট দেখুনঃ
আশা করি পার্থক্য আপনার চোখে সুস্পষ্ট ভাবে ধরা পরবে। কোন দেশের সংখ্যালঘুরা কেমন আছে জানতে চান, তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে চোখ রাখুন। যদি জরাজীর্ন, মলিন দেখায়, তাহলে জেনে রাখবেন মানুষগুলোও সেই ভাবেই জীবন ধারণ করে আছে। নিচে পাকিস্তানের একটি মন্দিরের ছবি দেয়া হলঃ
তথ্যসূত্রঃ